ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর হামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১ জুলাই ২০১৭

বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর হামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩০ জুন ॥ বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনার এক মাস পার হয়ে গেলেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই শিক্ষা কর্মকর্তার নাম স্বপন কুমার দাস (৫৫)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। গত ১ জুন সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এর ফলে বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে য়ায়। স্বপন কুমার দাসের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার (স্বপন দাস) হার্টে তিনটি রিং পরানো রয়েছে। এ অবস্থায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা অজ্ঞান করে তার ভেঙ্গে যাওয়া পায়ে অস্ত্রোপচার করতে রাজি হননি চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর শহরের ভাড়া বাসাতেই অবস্থান করছেন। স্বপন কুমার দাস অভিযোগ করেন, গত ১১ মে মাসিক সমন্বয় সভার আগে হাটখোলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রকিবুজ্জামান, বানিয়ারী কেয়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এবং কান্দাকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য পরিদর্শন রেজিস্টার বানানোয় তাদের কেন যুক্ত করা হয়নি বলে তাকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তারা আমার ‘পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে’ তিনতলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। স্বপন কুমার দাস বলেন, বোয়ালমারীতে এ হুমকির ঘটনা ঘটলেও তার ধারণা, ওই হুমকি প্রদানকারী শিক্ষকরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ফরিদপুর শহরে আমার ভাড়া বাসার কাছে গত ১ জুন সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত ৫ জুন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া এ বিষয়ে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট একটি আবেদন করেছেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাটখোলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, আমরা শিক্ষক, তিনি অফিসার। আমরা কেন তার গায়ে হাত তুলব? তিনি কেন আমাদের নাম বলছেন তা বুঝতে পারছি না। ‘এ ঘটনার একটা তদন্ত হওয়া উচিত, আমিও তদন্ত চাই’Ñ মন্তব্য করে ওই শিক্ষক বলেন, গত ১ জুন তিনি ঢাকায় ছিলেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিব প্রসাদ দে বলেন, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষক সমতির সম্পাদকসহ তিন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে একটি আবেদন করেছেন। আমি অভিযোগটি খতিয়ে দেখছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
×