ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও তামিম

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৬ জুন ২০১৭

আবারও তামিম

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে কি দুর্দান্ত খেলছেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে গেলেও সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আবারও ঝলক দেখান। ৬২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ৮২ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৭০ রান করে উমেশ যাদবের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তামিম। ভারতের বিপক্ষে তামিম ইকবাল ভাল খেলবেন। এ বিশ্বাস যেন সবার মধ্যেই ছিল। তামিম যে সবসময় ভারতের বিপক্ষে ভাল খেলেন। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। যদিও ভারতের বিপক্ষে কোন সেঞ্চুরি নেই। তবে ১৮ ম্যাচের মধ্যে প্রতি ৫ ম্যাচের একটি বা দুটি বা তিনটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছেই। ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ সালে প্রথম ব্যাট হাতে নামেন তামিম। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলেন। প্রথম ম্যাচেই তার ব্যাট জ্বলে ওঠে। তামিমের ৫১ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ম্যাচও জিতে। এমনকি ভারতকে সেই বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর এক এক করে ভারতের বিপক্ষে ১৮টি ম্যাচ খেলেন তামিম। ২০১২ সালের মার্চে বাংলাদেশে হওয়া এশিয়া কাপে যে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতে। সেই ম্যাচেও তামিম বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ (৭০) রানটি করেন। ২০১৫ সালের জুনে যে বাংলাদেশের মাটিতে ভারত তিন ম্যাচের সিরিজে হারে। সেই সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে। প্রথম ম্যাচেই তামিম ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেও। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ৫টি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই তামিম থাকেন। বাংলাদেশকে জিততে বিশেষ ভূমিকাও রাখেন। তিনি ওপেনার। তিনি যখন শুরুটা দুর্দান্ত করেন তখন যে পুরো দলেরই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ২০০৪ সালে যখন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো জিতে, সেই ম্যাচে তামিম ছিলেন না। থাকতে পারেননি। তখন ওয়ানডে অভিষেকই হয়নি তামিমের। তবে এরপর যে চারবার জিতে বাংলাদেশ। সবকটিতে তামিম ছিলেন। ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যে সিরিজই জিতে যায় বাংলাদেশ, সেই ম্যাচে তামিম ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। তিন ম্যাচে নিজের যোগ্যতা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশও জিতেছে। এবার বার্মিংহামে সেমিফাইনালেও তামিম দেখালেন ঝলক। শুরুতে ১ রানেই সৌম্য সরকার আউট হওয়াতে একটু রয়ে সয়ে খেলেছেন তামিম। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন। তবে ১৫ রানের সময়ই একটা ‘নতুন জীবন’ই পান। হার্দিক পা-ের বল তামিম পুল করেন। বল তামিমের ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে লাগে বেলস পড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই বোল্ড আউট হয়ে যান তামিম। কিন্তু আম্পায়ার ‘নো’ সঙ্কেত দেন। পা-ের পা পপিং ক্রিজের বাইরে চলে যায়। তামিম বেঁচে যান। সেই সুযোগটি পেয়ে তামিম অনেকদূর এগিয়ে যান।
×