ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম নগরীতে দিনে ভারি যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১০ জুন ২০১৭

চট্টগ্রাম নগরীতে দিনে ভারি যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম নগরীতে ভারি যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের মধ্যে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। গণমাধ্যমে পাঠানো সিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, বছরের অন্য সময়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীতে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। তবে রমজান মাস উপলক্ষে সে সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে নগরীতে ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে বিজিএমইএ ও বিকেএমইর স্টিকার লাগানো রফতানিযোগ্য গার্মেন্ট পণ্যবাহী যান চলাচলেও এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে ঈদের পরদিন থেকে আবার আগের নির্দেশনা মোতাবেক ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্য সব পণ্যবাহী যান চলাচল করবে। রমজান মাসে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান জেল রোড হয়ে আনসার ক্লাব দিয়ে খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করবে। কোনো অবস্থাতেই টেরিবাজার দিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ কোন পণ্যবাহী যানবাহন খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং মোড় থেকে বন্দর ও ইপিজেড এলাকা অভিমুখে বড় ট্রাক, প্রাইম মুভারসহ সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ঢাকা থেকে বন্দরগামী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভারসহ পণ্যবাহী সব গাড়ি ফৌজদারহাট হয়ে টোল রোড দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করবে। গণপরিবহন শ্রমিক ও চালকরা নির্ধারিত স্থান ছাড়া যাত্রী উঠা-নামা করাতে পারবে না। যাত্রী উঠানামা পর দ্রুত স্টপেজ ত্যাগ করতে হবে। যে সব ক্রসিং/মোড়ে বাস স্টপেজ নেই সেসব ক্রসিং/ মোড় থেকে ৫০ গজ দূরে যাত্রী উঠা-নামা করাতে হবে। আন্তঃজেলা বাসগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে শহরে প্রবেশ করবে না। তবে কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকাগামী/ঢাকা হতে আন্তঃজেলা দূরপাল্লার বাস যাত্রী নিয়ে শহরের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলায় চলাচল করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই শহরের মধ্যে কাউন্টারের সামনে বাস দাঁড়াতে পারবে না। প্রয়োজনে অলংকার মোড়, একেখান মোড়, সাগরিকা কাউন্টারের সামনে যাত্রী উঠা-নামা করতে পারবে। মার্কেটের সামনের রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে সব মার্কেট কমিটি বা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও কমিউনিটি পুলিশ রাখতে হবে। তবে পার্কিং সুবিধা না থাকলে কোন অবস্থাতেই রাস্তায় গাড়ি রাখতে পারবে না। বগুড়ার শপিংমলগুলো সেজেছে নতুন সাজে ঈদ সামনে রেখে বগুড়ার শপিংমলগুলো সেজেছে নতুন সাজে। বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। যদিও তেমন জমে উঠেনি বেচাকেনা। রমজানের মাঝামাঝিতে ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। নানা রং আর বাহারি ডিজাইনের পোশাকে ভরপুর বিপণিবিতানগুলো। বগুড়ার অভিজাত থেকে ছোট-বড় মার্কেট সব দোকানের চিত্র একই। বিক্রেতারা বলছেন, হালের ফ্যাশন থেকে পুরানো স্টাইল, সব আইটেমই আছে ঈদ কালেকশনে। গরমের মৌসুম হওয়ায় এবার আরামদায়ক সুতি কাপড়ে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তবে ঈদের এখনও অনেক সময় বাকি বলে বেচাকেনা জমে উঠেনি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সামনের সপ্তাহ থেকে পুরোদমে জমে উঠবে বাজার। তবে যারা ভিড় ঠেলতে চান না, তারা আগেভাগেই সারছেন কেনাকাটা। সারা বছর কমবেশি বেচাকেনা থাকলেও ঈদ সামনে রেখে বাড়তি লাভের আশা করছেন ব্যসায়ীরা। -স্টাফ রিপোর্টার
×