স্টাফ রিপোর্টার ॥ শম্পা হাসনাইন। ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। টেলিভিশন আর চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করছেন। উপস্থাপনা, বিজ্ঞাপন, নাটক, চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। অভিনয় করেছেন ‘মাটির পিঞ্জিরা’সহ কিছু চলচ্চিত্রে। এবার তিনি অভিনয় করলেন লেখক ও নির্মাতা নাসিম সাহনিকের গোয়েন্দাভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গোয়েন্দাগিরি’তে। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় শূটিং এবং ডাবিং শেষে এখন চলচ্চিত্রটি সম্পাদনার টেবিলে। খুব শীঘ্রই এটি মুক্তি দেয়া হবে। মামুনুর ইসলাম প্রযোজিত ও আম্মাজান ফিল্ম পরিবেশিত এই চলচ্চিত্রটি সহপ্রযোজনা করেছে ক্রোমোমিডিয়া। আম্মাজান ফিল্মের কর্ণধার প্রযোজক মামুনুর ইসলাম বলেন, চলচ্চিত্রে শম্পা গোয়েন্দা হিসেবে ভাল অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কাটবে আশা করা যায়। ‘গোয়েন্দাগিরি’ হচ্ছে শখের গোয়েন্দাদের কাহিনী। একদল টিনএজ ছেলেমেয়ে ছুটিতে বেড়াতে যায়। তাদের একটি বিশেষ পরিচয় তারা স্বপ্ন দেখে যে ভবিষ্যতে বড় গোয়েন্দা হবে। তাদের কারও আইডল শার্লক হোমস, কারও ফেলুদা, কারও তিন গোয়েন্দা, কারও আবার জেমস বন্ড। যাই হোক তাদের এবারের অভিযানটা শুরু হয় যখন মিডিয়াতে একটি পুরনো ভুতুড়ে বাড়ি নিয়ে হইচই পরে যায়। বনের মধ্যে অবস্থিত বাড়িটি নাকি অভিশপ্ত। অভিশপ্ত এই বাড়ির রহস্য উন্মোচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই শখের গোয়েন্দারা। তাদের এই অভিযানে রহস্যের স্বাদ যেমন পাওয়া যাবে তেমনি পাওয়া যাবে টিনএজ খুনসুটি, টিনএজ রোমান্টিসিজম আরও কত কি। ‘গোয়েন্দাগিরি’ চলচ্চিত্র নিয়ে নির্মাতা নাসিম সাহনিক বলেন, বেশ প্রস্তুতি নিয়ে বড় ধরনের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ‘গোয়েন্দাগিরি’ নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটির টেলিভিশন স্বত্ব বিক্রি করা নিয়ে ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়েছে। শম্পা জানান, চলচ্চিত্রটি শিশুকিশোরদের জন্য একটি অসাধারণ নির্মাণ। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা বড়দেরও শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। শম্পা আরও বলেন চলচ্চিত্রে হরর ও সায়েন্স ফিকশনের উপাদানও রয়েছে। তাই ডিটেকটিভ থ্রিলারধর্মী এই চলচ্চিত্রটি তরুণ প্রজন্মকে বেশ আকৃষ্ট করবে। এটির চিত্রনাট্য আমার ভাল লেগেছে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। শম্পা বলেন চলচ্চিত্রের শূটিং এবং ডাবিংয়ের সময় বেশ মজা হয়েছিল। মিডিয়া অযান্ত্রিক অফিসে বেশ আনন্দের সঙ্গেই আমরা ডাবিং করেছি। তিনি আরও বলেন, বড় পর্দায় কাজের অনেক অফার থাকলেও করা হয়নি। কিন্তু ‘গোয়েন্দাগিরি’র কাহিনী একেবারেই আলাদা। হরর থ্রিলারধর্মী। চিত্রনাট্যও অসাধারণ। এজন্যই কাজটি করেছি। এতে আমার চরিত্রের নাম গোয়েন্দা প্রিয়তা। প্রিয়তা শান্ত একটি মেয়ে। সে গণিত আর বিজ্ঞানে বেশ পারদর্শী। স্কুল-কলেজে বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণ করে প্রায়ই পুরস্কার জেতে। গোয়েন্দাগিরিতেও ভীষণ আগ্রহী। বন্ধুদের সঙ্গে পেয়ে সে গোয়েন্দা অভিযানে নেমে পড়ে। বাংলাদেশে গোয়েন্দাভিত্তিক চলচ্চিত্র খুব কমই নির্মিত হয়েছে। তবে যেগুলোই মুক্তি পেয়েছে সেগুলো সাধারণ দর্শকদের বিশেষ আগ্রহের তালিকায় থেকেছে। তাই ‘গোয়েন্দাগিরি’ নিয়ে শম্পা বেশ আশাবাদী।
শীর্ষ সংবাদ: