ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৪ জুন ২০১৭

ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা সিনেমাস প্রেক্ষাগৃহসহ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে একই সঙ্গে শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। প্যাটি জেনকিন্সের পরিচালনায় এ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র ডায়নার ভূমিকায় রয়েছেন ইসরাইলী সুন্দরী গ্যাল গ্যাডট। এর আগে যার কিছু ঝলক দেখা গেছে ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান : ডন অব জাস্টিস’ ও ‘ফাস্ট এ্যান্ড ফিউরিয়াস’ চলচ্চিত্রে। এবার তিনি পৃথিবীকে বাঁচাতে আমাজনের রাজকন্যা ওয়ান্ডার ওম্যানের বেশে হাজির হয়েছেন। স্টিভ ট্রেভরের চরিত্রে আছেন ‘স্টার ট্রেক’খ্যাত অভিনেতা ক্রিস পাইন। রয়েছেন রবিন রাইট, ড্যানি হাস্টনসহ অনেকে। চলচ্চিত্রে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছেন গোটা সুপারহিরো চলচ্চিত্র জগতকেই। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের ট্রেইলার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ছয় কোটি বারেরও বেশি দর্শকের। চলচ্চিত্রে দেখা যায়, মার্কিনী এক বৈমানিক স্টিভ ট্রেভরকে মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করে আমাজনের রাজকন্যা ডায়ানা। স্টিভের কাছ থেকেই সে জানতে পারে বাস্তবের দুনিয়া আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায়। নারীদের রাজত্বের আমাজন থেকে বের হয়ে ডায়ানা তাই সিদ্ধান্ত নেয় পুরুষতান্ত্রিক পৃথিবীকে বাঁচানোর। যেখানে পদে পদে পুরুষের সঙ্গে লড়েই নিজের অতিমানবীয় শক্তির জানান দিতে হয় তাকে। চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়ারিয়র প্রিন্সেস ডায়ানাকে দেখা গেছে তার সোনালি রজ্জু, রুপালি ঢাল আর ধারাল তরবারি দিয়ে একের পর এক শত্রুকে পরাস্ত করতে। লাস্যময়ী গ্যাল গ্যাডটনের এ্যাকশন অবতার নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু ২০ বছর বয়সেই সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়া এই অভিনেত্রী প্রতিটি দৃশ্যে প্রমাণ করেছেন, রূপের পাশাপাশি শক্তিরও অনেক বড় আধার তিনি। সম্প্রতি এক টিভি অনুষ্ঠানে গ্যাডট বলেন, আমি আরও একবার পৃথিবীকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি আর এটা খুব কঠিন দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অর্থাৎ ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ চলচ্চিত্রের শূটিং করতে গিয়ে এর চেয়েও বড় বড় ব্যথা সইতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, আমি এই শূটিংয়ের জন্য ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে। দুই ঘণ্টা ব্যায়াম, দুই ঘণ্টা ফাইটিং কোরিওগ্রাফি এবং দুই ঘণ্টা ঘোড়ায় চড়েছি। যেটা ভীষণ কঠিন ছিল।
×