ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভাল নেই বরিশালের ডিজিটাল সন্তানরা

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৭ মে ২০১৭

ভাল নেই বরিশালের ডিজিটাল সন্তানরা

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবাদানের পাশাপাশি সরকারের নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজের ছবি ও তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সরবরাহ করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ডিজিটাল সন্তানরা (উদ্যোক্তা)। ফলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। সূত্র মতে, ২০১০ সালে ‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ ডিজিটালভাবে সরকারী-বেসরকারী সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (ইউএনডিপি) প্রশাসক মিস হেলেন ক্লার্ক ভোলা বরিশালের প্রত্যন্ত চরকুকরিমুকরি ইউনিয়ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্বোধন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ইউডিসিতে একজন করে পুরুষ ও একজন নারী উদ্যোক্তা কাজ করার সুযোগ পায়। ফলে ইতোমধ্যে উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সময়ে সরকারী-বেসরকারী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও পরিষদের যাবতীয় দাফতরিক কাজে ইউপি সচিবদের সহযোগিতাসহ বিনামূল্যে কম্পিউটার কম্পোজ করে সরকারী কাজে উদ্যোক্তারা সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেয়। একপর্যায়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ বাতিলপূর্বক ডিজিটাল সেন্টারকে জাতীয়করণ করে উদ্যোক্তাদের সরকারীভাবে বেতন ভাতার দাবিতে আমরণ অনশনসহ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। আদালত হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের বিরুদ্ধে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেন। ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব আলী বলেন, দীর্ঘ বছর উদ্যোক্তারা পরিষদের যাবতীয় কাজ বিনামূল্যে করে আসছেন। এখন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করা হলে উদ্যোক্তাদের আর কাজ থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের পথ শিখিয়ে গিয়েছেন। তাই ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য উদ্যোক্তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
×