১২ বছরের বালকের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর বিয়ে পড়ালেন ইউপি চেয়ারম্যান!

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে ৫ম শেণীর ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হয়েছে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীর। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ বাড়িতে কাজী ডেকে এই বিয়ে দেন। যার পাত্র গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে হাসিব মালের বয়স এখন ১২ বছর চলছে। ৯ মাস পূর্বে তার বয়স ছিল ১১ বছর। ওই সময়ই নাকি হাসিবের সঙ্গে মেলামেশায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সোনিয়া। যার সামাজিক সমাধান করা হয় ওই দু’জনের বিয়ে পড়িয়ে। আশ্চর্য রকমের এই বিয়ের পাত্রী একই গ্রামের আসলাম মালের মেয়ে সোনিয়া আক্তারের বয়স এখন ১৮ বছর। চেয়ারম্যান ও অন্যারা জানান, মেয়েটি বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজী মোঃ আলতাফ হোসেন ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে পড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে খুব গরীব। তারা একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে তাই বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন’। তবে এ সম্পর্কে কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাকে বাচ্চু চেয়ারম্যান তার বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। ছেলের বিয়ের বয়স হয়নি। তার জন্মসনদও দিতে পারেনি, তাই বিয়ে পড়াইনি। তবে তাদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমার রেজিস্ট্রারে কোন স্বাক্ষর করানো হয়নি’। ঘটনা সম্পর্কে এই বিয়ের ‘পাত্র’ হাসিব মাল শুক্রবার অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনাটি অন্যায়ভাবে আমার ওপর চাপানো হয়েছে। আমিতো লেখাপড়া করছি’। অসহায় শিশু ছাত্র হাসিব মাল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সে এখন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে।