ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২১ এপ্রিল ২০১৭

কবিতা

শ্যাম প্রতিমা অমি রহমান পিয়াল সাঁঝ পুরোলেই তক্ষকেরা অস্থির হয়ে ওঠে যক্ষেরা স্পষ্ট হয় গুপ্তধন পাহারার শিফট শুরু তাদের ভোরের আলো না ফোটা পর্যন্ত চলে নজরদারি ইদানীং সময়টায় এক আজব আজাবে ভুগি পাতলা এক জোড়া ঠোঁট ছোট্ট তিলছাপ নিয়ে আমাকে রূপখনি ভ্রমণের হাতছানি দেয় নিষ্পাপ হাসিমাখা ওই অসহ্য সুন্দরে আমি মুগ্ধ যতখানি, পুড়িও ততটা পুরাণে কখনও ভেনাস কখনও আফ্রোদিতি শ্যাম প্রতিমায় উন্মোচিত হয় এত আড়াল এত বাদ সাধে যে আমার আসলে কিছুই দেখা হয় না আমার জানা হয় না তার নখের গড়ন আঙুলের ধরনটা কদলচাপা কিনা কোমরের খাঁজ, কয়খানা ভাঁজ নিয়ে সোজা হয় সে নগ্নতায় পা’দুটো তার কেমনতরো খুঁটি নাভীমূল কতটা জটিল শাপলার কোড়ক বুকের আঁটুনি দিয়ে কতখানি ঈর্ষা দেয় পদ্মিনীদের পদ্মপাতার ভাঁজে কতখানি স্বেদ, কেমন ক্ষরণ আঁধারের আড়ালে কল্পনার খেরোখাতায় প্রতিদিন সেই আঁকিবুঁকি খসড়াতেই বিনির্মাণ যার পূর্ণতা নেই প্রতিরাতে তক্ষক হয়ে যক্ষের ধনে উঁকিঝুঁকি মারি, তীব্র আঁধারে অস্পষ্টতায়, অপূর্ণতায়... ** আমাকে একমুঠো ঘ্রাণমাখা মাটি দাও মানজুর মুহাম্মদ মাটির ঘ্রাণে গড়াগড়ি দেয় না স্বপ্নের মার্বেল, মৌন-মার্বেলে সুনীল কৈশোর। লাল, সবুজ মার্বেলের বুকে ঢুকে পড়ে না শুভ্র আকাশ, আকাশের উড়ন্ত পাখির পালকের রোদের ফিসফাস। চকচকে গ্লাস-টাইলসের নগর-মেঝে জল-বর্ষার দুপুরে ভেজা লজ্জা ছায়া ফেলে না আজ। দোয়েলের শিসও ফিরে যায় পিং-পং বলের আদলে। আমাকে একমুঠো ঘ্রাণমাখা মাটি দাও, আমি নগরের বুকে বুকে লেপে দেব পরম আবেগে। মৃত নগরের ঠোঁটে আবার খেলায় মেতে উঠবে জোসনা-আকাশ, রূপোর-তারা, নদীর-নাচ, ধবল-মগ্ন-কাশ, আর ফড়িংয়ের প্রণয়নত ঘাস। তারপর... তারপর নিশ্চিত নেমে আসবে- মাটির ঘ্রাণে মাতাল প্রেমের জল, সবুজের ভস্মে আনন্দ কল-কল ।
×