ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দরপত্র আহ্বান এনএসসির

অবশেষে হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৯ এপ্রিল ২০১৭

অবশেষে হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নানা জল ঘোলা হবার পর অবশেষে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে স্থাপিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত ফ্লাডলাইট। এরই মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টেন্ডার নোটিস জারি করেছে। ফলে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে যে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফ্লাডলাইট বসানোর দায়িত্ব পাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই শেষ হবে কাজ। ফলে আগামী অক্টোবরে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য আট জাতি এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে সব শঙ্কার অবসান হচ্ছে। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। বিশ্ব হকিতে নীল টার্ফে ফ্লাডলাইটের ঝলকানি। আর তাতেই স্টিকের জাদুতে খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত লড়াই উপভোগে মশগুল গ্যালারির দর্শকরা। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও হকি আজ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। পাশের দেশ ভারতই সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। বিদেশের মাটিতে হকির লড়াইটা বেশ উপভোগ্য হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা একেবারেই ভিন্ন। বাইরের দেশগুলো নীল টার্ফ, ফ্লাডলাইটসহ সব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। যদিও অনেক কষ্টে নীল টার্ফ মিললেও নানা জটিলতায় বাংলাদেশ পায়নি ফ্লাডলাইটবিশিষ্ট কোন হকির মাঠ। তবে অনেক আক্ষেপের কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে সেই অভাব পূরণ হতে চলেছে। প্রায় ১০ কোটি টাকার এ প্রকল্পে শুধু ফ্লাডলাইটই নয়, মাঠের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গ্যালারি সংস্কারসহ বিশাল প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ফ্লাডলাইট বসানো হলেই এ মাঠে আয়োজন করা যাবে ভারত-পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সেই সঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক লীগ আয়োজনের পরিকল্পনাও দেখবে আলোর মুখ। কদিন আগে ফ্লাডলাইট স্থাপনের জটিলতা কেটে যায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পায় ১০ কোটি টাকার ফ্লাডলাইট স্থাপনের প্রকল্প। হকি স্টেডিয়ামের চার কোণায় চারটি টাওয়ারে বসবে লাইটগুলো। মাঠের মাঝখানে লাক্সের মাত্রা হবে ১২৫০। তবে হকি ফেডারেশন শুধু ফ্লাডলাইট স্থাপন করেই বসে থাকতে চায় না। এবারের হকি ওয়ার্ল্ড লীগ রাউন্ড-২ আয়োজনের সময় দেখা গেছে বেশকিছু ঘাটতি। বিশেষ করে মূল টার্ফের পাশে একটি অনুশীলন টার্ফের প্রয়োজনীয়তা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে টার্ফ যেখানে আছে, সেটিকে আরও পশ্চিমে সরিয়ে এনে পূর্বদিকে অনুশীলন টার্ফ স্থাপন করা সম্ভব। ফেডারেশন এটি ছাড়াও ভিআইপি গ্যালারি ও প্রেসবক্সের উন্নয়নও করতে চায়। তাছাড়া মাঠের পাশে খেলোয়াড়দের বসার স্থান ও ড্রেসিং রুমের সংস্কারও প্রয়োজন। কারণ এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের ক্ষেত্রে অনেক কিছুতেই ছাড় দেবে না এশিয়ান হকি ও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন।
×