ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সিআইএর হ্যাকিং ॥ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১১ মার্চ ২০১৭

সিআইএর হ্যাকিং ॥ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

সিআইএ’র হ্যাকিং যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের লক্ষ্যবস্তু হলেও তা আসলে ভাল। কেননা তদারকি গোপনে হলেও ব্যবস্থাটিতে আসলে যে কারও তথ্য নিরাপদ থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর সি নেট অনলাইনের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকিং আপনাকে বিস্মিত করতে পারে। তবে এজন্য কোন ব্যক্তি বিপদের সম্মুখীন হবেন না। কেননা এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হচ্ছে। প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্য গুপ্তচরবৃত্তির ডিভাইসে পরিণত হচ্ছে- এটি মনে করে যে কেউ অসহায় বোধ করতে পারেন। যদি ধরে নেয়া হয় যে, সিআইএ গুপ্তচরবৃত্তি করে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী বা বিদেশী গুপ্তচরদের মোবাইল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সময় অপচয় করছে, তাহলে তারা অনেক বেশি বিচক্ষণতা ও প্রয়োজনীয় ইন্টারনেটে প্রবেশ করে তদরকি করছে। স্মার্ট টিভি হ্যাকিংয়ের কবলে পড়লে কোন তথ্য চুরি করতে পারবে না। তথ্যগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিতে বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত হয়ে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলে তা সংরক্ষণাগারে থেকে যাবে। আর না হলে পরে তা বাদ দিয়ে দেয়া হবে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড্যান পেত্রো বলেন, এনএসএ’র কার্যক্রম একটি অব্যাহত বুদ্ধিদীপ্ত চলমান ধারা। এর পরিসর অনেক বড়। যেসব ক্ষুদ্র হ্যাকার রয়েছেন তারাও এজন্য নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইভা গালপেরিন বলেন, সিআইএ’র মোবাইল হ্যাকিং অনেক নিরীক্ষা করে করা হচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে, আপনার সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে, যাতে হ্যাকিং করার পথ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় সাধারণ মানুষেরা একটি পথ অবলম্বন করছে, যাতে তাদের সফটওয়্যার এনক্রিপশন হয়ে কাজ করে। সিআইএ ও এফবিআইয়ের তদন্ত শুরু ॥ সিআইএ’র হ্যাকিং কৌশল ও নজরদারির পদ্ধতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তদন্তে এফবিআই ও সিআইএ সহযোগিতা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা।
×