স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাতির ঝিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১০তলা গাড়ি পার্কিং ভবন। এ ভবনে একসঙ্গে রাখা যাবে হাজারের মতো গাড়ি।
এটি নির্মাণ হয়ে গেলে হাতির ঝিলে গাড়ি নিয়ে আর কাউকে বিপাকে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। তারা জানান, হাতির ঝিলে এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন। কিন্তু নির্দিষ্ট পার্কিং স্পট না থাকায় সড়কেই তাদের গাড়ি রাখতে হয়। পার্কিং ভবনটি নির্মাণ হয়ে গেলে পার্কিং সমস্যা আর থাকবে না। জানা যায়, এ পার্কিং ভবনের কাজ ১৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। তারপরই এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এদিকে মধুবাগের পরে হাতিরঝিলের লেকের মাঝে থাকা মসজিদে বাইতুল মাহফুজও সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। মসজিদটির জন্য অন্য একটি স্থানও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় এখনই মসজিদটি সেখানে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, হাতির ঝিল থেকে ছয়টি মসজিদ সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এ মসজিদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় মসজিদটি সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে হাতির ঝিলে চালু হয়েছে ওয়াটার ট্যাক্সি। বর্তমানে চারটি ওয়াটার ট্যাক্সি চললেও এ সংখ্যা বাড়ান হবে শীঘ্রই। রাতের হাতির ঝিলকে আলোকময় করার জন্য বিভিন্নস্থানে লাগান হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাতি। যেগুলোর আলোয় লেকের পানি দিনের মতো করেই আলোকিত থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী এ আলো আরও বাড়ান হতে পারে বলেও জানা যায়। রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার সঙ্গে হাতির ঝিলের যানজটহীন সংযোগের সঙ্গে বনশ্রীর সঙ্গে একটি ইউলুপ করা হয়েছে। বাড্ডার সঙ্গেও একই রকম অন্য একটি ইউলুপ নির্মাণ কাজ চলছে। শীঘ্রই ইউলুপটির কাজ শেষ হবে। আর হাতিরঝিলের এ পাশ থেকে ওপাশে সহজে যাতায়াতের জন্য এক বছর আগেই চালু হয়েছে চক্রাকার বাস সার্ভিস।
এছাড়া হাতির ঝিলের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি থানা নির্মাণের ঘোষণা আরও আগে এসেছে। আফতাব নগরে ঢোকার মুখে এ থানার জন্য প্রাথমিক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত হলেই থানা নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: