ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ক্রয় কমিটিতে অনুমোদন

ডেঙ্গু রোধে দরপত্র ছাড়াই মশার ওষুধ কেনা যাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ৮ মে ২০২৪

ডেঙ্গু রোধে দরপত্র ছাড়াই মশার ওষুধ কেনা যাবে

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু প্রতিরোধে উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই মশার ওষুধ কিনতে বা আমদানি করতে পারবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ডিএনসিসিকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কীটনাশক কেনা বা আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে। এ জন্য ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রায় ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে তিন কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার। তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকা টাকার ইউরিয়া সার কেনা হবে। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ১৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। 
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কীটনাশক কেনা অথবা আমদানির প্রস্তাব আনা হয়। সভায় আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তাবটিতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমতে, এবছর মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। গতবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত অনেক রোগী হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। স্যালাইন সংকটও তীব্র আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় গতবছর ডেঙ্গু রোগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা যায়। এবছর ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মশার উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মশা নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মশার ওষুধ কেনার সরকারি এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, গ্যাসের সংকট দূরীকরণে এলএনজি আমদানি, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে নাবিল নাবা  ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন  দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ২৪ পয়সা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। এ ছাড়া অপর এক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৬ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে।

×