ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৯ মে ২০২৪

শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ

কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে গঠিত জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, এখন থেকে নতুন কারখানাগুলো ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা ও পরিকল্পনার যে অনুমোদন দেওয়া হবে, বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাইরে যেগুলো আছে, সেগুলোর অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অধীনের কমিটি।

সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পেশাদার সংগঠন যেগুলো আছে, যেমন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার- এসব সংগঠন তাদের অথরাইজড করার মতো কারা আছেন, তাদের একটা তালিকা দেবে। যেমন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, প্লাম্বিং, এমইপি, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল-তাদের তালিকা দিয়ে দেবে।

কমিটির সভাপতি বলেন, তালিকায় যাদের নাম আছে, ভবনের নকশায় তাদের সই আছে কি না সেটা দেখবে কমিটি। অনেক সময় সই নকল হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম তাড়া থাকবে, তালিকাভুক্তদের সইয়ে প্ল্যানিং বা নকশা জমা দেওয়া হয়েছে কি না সেটা দেখা। পেশাগত সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সই সঠিক কি না সেটার সত্যতা যাচাই করা হবে। আমাদের একটা আইন হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)।

এ আইনে একটি অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি। যত দ্রুত সম্ভব এটা যাতে পূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরও বলেন, এরই মধ্যে তিন পর্যায়ে আমরা সারাদেশের কলকারখানা পরিদর্শন করেছি। প্রথম পাঁচ হাজারে ফল অনেক ভালো পেয়েছি। পরিদর্শনের পর কারেক্টিভ অ্যাকশন প্ল্যান করে তাদের জানানো হয়েছে যে এই এই ত্রুটি আছে এগুলো ঠিক করতে হবে।

সেই অনুসারে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি আমরা যেভাবে অনুরোধ করেছি অন্তত ৫০ শতাংশ সেটা বাস্তবায়ন করেছে। বাকিদের আরও সময় দেওয়া হয়েছে, তারা সবাই কাজ করছেন। সবার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।

×