নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ইমামগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডি.এম মাসুদার রহমান মুকুলকে পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আজ রবিবার তার পরিবার ও সহযোগীদের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বরাবরে অবিলম্বে তার মুক্তি ও প্রতিকারের দাবি জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত মুকুলের বড় ভাই ফয়জার রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি উল্লেখ করেন মাদ্রাসায় ২০০০ সালে বাংলা বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১০ সালে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৃত্যুবরণ করলে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় হতে অদ্যাবধি তার নামে কোন মামলা বা রাজনৈতিক অভিযোগও নেই। বরং মাসুদার রহমান মুকুল মরহুম এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন।
অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি লোকমান সরকার সরাসরি এমপি লিটনের বিরোধিতা করায় স্বাভাবিকভাবেই অধ্যক্ষ ও এমপির মধ্যে উক্ত সভাপতির দুরত্ব ছিল। দুর্বৃত্তের গুলিতে এমপি লিটন খুন হওয়ার পর উক্ত সাবেক সভাপতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বড় ভাই হওয়ার সুবাদে পুনরায় সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্যই পুলিশ বাহিনীকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে মাসুদার রহমান মুকুলকে বিভিন্ন হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িত করার এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ও মোজাম্মেল হক, ভাগিনা একরামুল হক প্রমুখ।
