ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নবজাতক চুরি ॥ হদিস মেলেনি ২ দিনেও

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

নবজাতক চুরি ॥ হদিস মেলেনি ২ দিনেও

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় অবস্থিত নগর মাতৃসদন (আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার) থেকে অভিনব কায়দায় চুরি নবজাতকের হদিস মেলেনি। দুদিনেও প্রতারক নারীকেও ধরতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নবজাতকটি চুরি হয়। পবার চর শ্যামপুর এলাকার দিনমজুর নাসির উদ্দিনের স্ত্রী মুক্তি খাতুনের প্রথম সন্তানটি চুরির পর প্রসূতি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকটির নানি রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নারীসহ নগরীর দাশমারী এলাকার তোহুরা নামের আরেকজনকে আসামি করে শাহমখদুম থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ তোহুরাকে গ্রেফতার করলেও এখনও হদিস মেলেনি নবজাতকের আর প্রতারক নারীর। শাহমখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, অভিনব কায়দায় ‘খালা’ সেজে শিশু চুরির ঘটনা এটিই প্রথম রাজশাহীতে। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামলার আসামি তোহুরা খাতুন ও ওই ক্লিনিকের নার্স এলিজাবেথকে আটক করা হয়েছে। তাদের শুক্রবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কোন তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। নবজাতকটির বাবা নাসির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। ওইদিনই প্রসূতি নারীদের নিয়ে কাজ করছেন বলে অজ্ঞাত নারী নাসিরের বাড়িতে যায়। এ সময় অজ্ঞাত ওই নারীর সঙ্গে ছিলেন নগরীর দাশপুকুর এলাকার হুমায়ন কবিরের স্ত্রী ও আরবান হেলথ কেয়ারের মাঠকর্মী তোহুরা খাতুন। অজ্ঞাত ওই নারীর কথামতো প্রসূতি মুক্তি খাতুনকে নওদাপাড়া আরবান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর সিজারিয়ানের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্ম দেন মুক্তি। সিজারের প্রাথমিক খরচ বাবদ ৪ হাজার টাকা খালা সেজে প্রদান করেন অজ্ঞাত ওই নারী। মামলার বাদী রোজিনা খাতুন জানান, নবজাতক জন্ম নেয়ার আগ থেকেই অজ্ঞাত ওই নারী ক্লিনিকেই ছিল। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়লে নবজাতকটিকে নিয়ে ওই নারী সটকে পড়ে।
×