ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এখন আর শোভাবর্ধন বা প্রদর্শনী নয়

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

এখন আর শোভাবর্ধন বা প্রদর্শনী নয়

ফুল এখন আর শুধু শোভাবর্ধন কিংবা প্রদর্শনীর উপকরণ নয়। ফুল তার সৌন্দর্যের আকর্ষণ দিয়ে নিজেকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বাজারে ঠাঁই করে নিয়েছে। সঙ্গত কারণে নওগাঁ অঞ্চলেও ফুলের কদর বেড়েছে। চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় এখানকার ফুল ব্যবসা সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হয়েছে। গাঁজাগোলার মোড়ে ফুলবাজার এবং চুড়িপট্টি সড়কের কয়েকটি দোকানে বিভিন্ন জাতের রং-বেরঙের ফুল বেচাকেনা হয়। বিয়ে, জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী, অন্নপ্রাসন, আকিকা, গায়ে হলুদ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ছাড়াও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পূজা-পার্বণে ফুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। গাঁজাগোলার মোড়ে কনকচাঁপা ফুলঘর, মাধবী ফুলঘর ও গিফ্ট কর্নার, নকশী ফুলঘর এবং তরফদার ফুলঘর নওগাঁ শহরের অন্যতম ফুলের দোকান। কনকচাঁপা ফুলঘরের অমিত রায় জানান, শুধু জেলা শহরেই নয়, বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার এলাকাতেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে, সরস্বতী পূজা, একুশে ফেব্রুয়ারি ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, দিবস, বিয়ে, জন্মদিনসহ ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠান চত্বর সাজানো থেকে শুরু করে উপহার হিসেবে ফুলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। রমজান মাসে ফুলের চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও প্রায় সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বর্তমানে একটি গোলাপ ফুল পাঁচ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক পাঁচ টাকা এবং গ্লাডিওলাস ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তরফদার ফুলঘরের মামুনুর রশীদ তরফদার জানান, নওগাঁ বাজারে এখনও যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে ফুল আমদানি করতে হয়। তবে নওগাঁর হাঁপানিয়া ইউনিয়নের লখাইজানি এলাকায় ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এখান থেকেও ফুল বাজারজাত হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে, গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ভোট্টা, জারবেড়া, জিপসী, গ্লাডিওলাসসহ নানাজাতের আকর্ষণীয় ফুল। মাধবী ফুলঘর ও গিফ্ট কর্নারের বিপ্লব জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফুলের অর্ডার পাওয়া যায়। নকশী ফুলঘরের তরিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ফুলের বাজার কম যাচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বিয়ের মৌসুম। ফুলের চাহিদাও বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, ফুল হলো কাঁচামাল। যথাসময়ে বিক্রি না হলে পচে যায়। সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত নষ্ট হয়। ফলে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে বেশি টাকার ফুল কিনতে সাহস পায় না। বিয়ের অনুষ্ঠানে কার বা মাইক্রোবাস ফুল দিয়ে সাজানো হয়। -বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ থেকে
×