ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোল ইন্ডিয়ার পর দ্বিতীয় বৃহৎ কোম্পানি বাজারে আনছে সেবি

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

কোল ইন্ডিয়ার পর দ্বিতীয় বৃহৎ কোম্পানি বাজারে আনছে সেবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের পুঁজিবাজারে কোল ইন্ডিয়ার পর সবচেয়ে বড় আইপিও নিয়ে আসছে এনএসই। নানা টালবাহনা শেষ করে কোম্পানিটি বাজারে প্রথমবার শেয়ার ছাড়তে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি) কাছে খসড়া প্রস্তাবনাপত্র দাখিল করেছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা। জানা যায়, এই ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা। ২০১০ সালে কোল ইন্ডিয়ার ১৫ হাজার কোটি টাকার পরে এত বড় মাপের ইস্যু ভারতের বাজারে আসেনি। গত প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মূলত শেয়ার নথিভুক্তির প্রশ্নে আটকে ছিল এই পাবলিক ইস্যু। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন, শেয়ার নথিবদ্ধ হোক এনএসই-তেই। তবে বাজারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেবি‘র নিয়ম অনুযায়ী নিজের এক্সচেঞ্জে নয়, বিএসই-তে নথিভুক্ত করতে হবে। এনএসই সূত্রের ইঙ্গিত, শেয়ার ছাড়তে দেরির পিছনে আর একটি কারণ হলো শেয়ার লেনদেন ও তার বাইরে থাকা অন্য ব্যবসাকে আলাদা করে দেয়া নিয়ে মতানৈক্য। শেয়ার নথিভুক্তির আগেই তা সেরে ফেলার পক্ষে ছিলেন এনএসই কর্তৃপক্ষের একাংশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাজারে শেয়ার আনায় আর দেরি না-করার পথেই হাঁটল এনএসই। তারা নিজেরাই খসড়া প্রস্তাবনাপত্র পেশ করার ব্যাপারে ২০১৭-র ৩১ জানুয়ারিকে সময়সীমা ধরে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জুন মাসে। তার আগেই তা দাখিল করা হলো। এ দিন এনএসই সূত্রে খবর, বাজারে আসার পরে বিএসই-তেই নথিভুক্ত হবে এনএসই শেয়ার। তবে বিএসই যেহেতু প্রতিযোগী স্টক এক্সচেঞ্জ, তাই ইস্যুর পরে লেনদেন নিয়ে স্বাধীন নজরদারি কমিটি গড়তে এনএসই আর্জি জানিয়েছে সেবি’র কাছে। বাজারে বিক্রি করা হবে ১১ কোটির কিছু বেশি ইক্যুইটি শেয়ার, যা এনএসই’র মোট শেয়ারের ২২.৫%। বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করেই (অফার ফর সেল) ইস্যু ছাড়া হবে। ১৫.৮% ইক্যুইটি বাজারে আসবে বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদের মারফত, ৬.৭% দেশী শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ইস্যু অনুসারে এনএসই’র মূল্যায়ন দাঁড়াতে পারে ৫০-৫৫ হাজার কোটি টাকা। দ্রুত শেয়ার ছাড়তে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিটি গ্রুপ, মরগ্যান স্ট্যানলি, জেএম ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনাল সিকিউরিটিজ ও কোটাক মহীন্দ্রা ক্যাপিটালকে। গড়া হয়েছে নথিভুক্তি সংক্রান্ত কমিটিও। তবে এ মাসেই এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ আচমকা ইস্তফা দেয়ায় ইস্যু নিয়ে প্রস্তুতি কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া ছ’মাসে এনএসই’র নিট মুনাফা ছিল ৫৮৮.৩২ কোটি টাকা। মোট আয় ১৩৪৩.৫১ কোটি টাকা। বিএসই ইতোমধ্যেই বাজারে প্রথম শেয়ার ছাড়ার পথে এগিয়েছে। সেপ্টেম্বরে সেবি’র কাছে পেশ করা প্রস্তাবনাপত্রের ইঙ্গিত, ইস্যুর আকার ১৫০০ কোটি টাকার মধ্যে। বিএসই প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল ডিপজিটরি সার্ভিসেস-ও ৩.৫ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে ইতোমধ্যেই খসড়া পেশ করেছে।
×