ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত গেল বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ভারত গেল বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চতুর্থ সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে এবং কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার সকালে ভারত পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানযোগে ভারতের শিলিগুড়িতে রওনা হয় সাবিনা-কৃষ্ণারা। সোমবার থেকেই আসর মাঠে গড়িয়েছে ! নিজেদের প্রথম ম্যাচ বৃহস্পতিবার হলেও কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আরও আগে দল পাঠানো উচিত ছিল বলে মনে করেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এবারের আসরের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এই আসরকে সামনে রেখে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন শনিবার দল ঘোষণা করেন। কোচ ছোটন ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দু’জনই ভাল করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এবং স্বাগতিক ভারত ও শক্তিশালী আফগানিস্তান। ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান এবং ৩১ ডিসেম্বর খেলবে স্বাগতিক ভারতের বিরুদ্ধে। দুটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। গ্রুপে তিন দল হওয়ায় দুই ম্যাচের একটি জিতলেই সেমিফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত বাংলাদেশের। বাফুফে এবারের মহিলা সাফটাকে তারা নিয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুর্ধ-১৬ দলের মেয়েরা খেলবে এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে। সেখানে শীর্ষ তিন দলের মধ্যে থাকতে পারলে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮ সালের ফিফা অনুর্ধ-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত এক বছরে অনুর্ধ-১৪ দল দুটি (নেপাল ও তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত) এবং অনুর্ধ-১৬ দল একটি (ঢাকায় অনুষ্ঠিত) শিরোপা জিতেছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে। তাই সাফে জাতীয় দলে আছে অনুর্ধ-১৬ দলের ফুটবলারদের প্রাধান্য। তবে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র কিছু ফুটবলারও (৫ জন : সাবিনা খাতুন, সাবিনা আক্তার, মুনমুন, মাইনু ও রতœা) নেয়া হয়েছে। চার বছর পর যখন এই মেয়েদের বয়স ২০ হবে, তখন লক্ষ্য হবে সাফের শিরোপা জেতা। উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টানা তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মজার ব্যাপারÑ প্রতিবারই রানার্সআপ হয় নেপাল এবং নেপালের কাছে দুবারই সেমিফাইনালে হেরে যায় বাংলাদেশ! বাংলাদেশ তৃতীয় হয় ২০১০ এবং ২০১৪ আসরে। এখন দেখার বিষয়, এবার তারা কেমন ফল করে।
×