ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে সভা করে একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

বরিশালে সভা করে একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কারের জ্যান্ত ঘোড়ার লেজ কাটার অভিযোগে বুধবার সকালে সভা করে একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় গ্রাম্য মোড়লরা। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের। সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বাগধা কল্লোল পল্লী মঙ্গঁল তরুণ সংঘের উদ্যেগে “কল্লোল কাপ ফুটবল টুনামেন্ট” এর ফইনাল খেলা গত ৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলার ট্রাইবেকারের মাধ্যমে বাগধা কল্লোল ক্লাব ৫-৪ গোলে নিতাই কুন্ড একাদশকে পরাজিত করে। খেলা শেষে স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুল হামিদ তালুকদারের সভাপতিত্বে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী দল কল্লোল ক্লাবের খেলোয়াড়দের মাঝে চ্যাম্পিয়ান পুরস্কার হিসেবে একটি জ্যান্ত ঘোড়া তুলে দেন। সূত্রমতে, রবিবার রাতে বিজয়ী দলের ওই ঘোড়াটির লেজ কেটে নেয়া হয়। এ ঘটনায় একটি মহল পশ্চিম বাগধা গ্রামের মোকলেস সরদারের স্ত্রী বিউটি বেগমকে অভিযুক্ত করে ঘোড়ার লেজ কাটার ঘটনায় মোকলেসের পরিবারের কাছে বিচার দাবি করে। ওই পরিবার থেকে কোন বিচার না পাওয়ায় বুধবার সকাল দশটার দিকে কল্লোল ক্লাব মাঠে ক্লাবের সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুলের সভাপতিত্বে এক সভার আয়োজন করা হয়। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী ওই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হামিদ তালুকদার, সমাজ সেবক জোনেজু খান জনি, সামচুল আলম তালুকদার, দুলাল খান, রহিম খান, লাল মিয়া মোল্লা, সুলতান তালুকদার, অনন্ত হালদার, অজিত মধু, হাবিবুর রহমান, নুর হোসেন, রাজেন মধু প্রমুখ। সভা শেষে মোকলেস ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুল। এ ব্যাপারে মোকলেস সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী জোনেজু খান জনির সাথে দীর্ঘদিন থেকে তার ১১টি মামলা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তাই সমাজে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অন্যকেউ ঘোড়ার লেজ কেটে তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘোড়ার লেজ কাটার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে সমাজচ্যুত করার ঘোষণার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×