ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজাত এলাকায় চলে যাচ্ছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

অভিজাত এলাকায় চলে যাচ্ছেন  পুরান ঢাকার বাসিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা অসুবিধার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় চলে যেতে শুরু করেছেন পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয়রা বলছেন, সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ও ভাল যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় নিজের ভিটামাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। নগরবিদরা বলছেন, দিন দিন পুরান ঢাকার ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ায় অন্যত্র বসবাসের চিন্তা করছেন এসব এলাকার মানুষ। সিটি কর্পোরেশন বলছে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তারা। পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন হিরু। সম্প্রতি পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বসবাস করছেন রাজধানীর ধানম-ি এলাকায়। অন্যদিকে আখতার হোসেন। অভিজাত এলাকায় থাকার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও জন্মস্থানের মায়া ছাড়তে পারছেন না তিনি। দুজনেই জানালেন পুরান ঢাকার নানা সমস্যার কথা। শুধু ইসমাইল হোসেন বা আখতার হোসেন নয় সমস্যায় জর্জরিত পুরান ঢাকা নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই অনেকের। নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ না নেয়ার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, ঐতিহ্যবাহী এই নগরীকে নতুন করে সাজাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তারা। বিশ্বের ১৪০টি বসবাসের অনুপযোগী শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নগরীকে বসবাসের উপযোগী করতে প্রথমে পুরান ঢাকার দিকেই নজর দিতে হবে। যমুনা ইকোপার্ক এখন সিরাজগঞ্জের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক, এখন জেলার প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যমুনার পারে সবুজে ঘেরা এই ইকোপার্কটিতে রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা। যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে ইকোপার্কটি ভ্রমণবিলাসীদের কাছে হয়ে উঠতে পারে একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু আর যমুনা নদীর কোল ঘেঁষে বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক। বিভিন্ন প্রকার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমারোহে গড়ে তোলা হয়েছে পার্কটি। এছাড়াও রয়েছে পশুপাখি। প্রতিদিন টিকেটের বিনিময়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা বিনোদনের জন্য এখানে বেড়াতে আসেন। তবে পার্কটির ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল। পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ আরও কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হলে এটি হতে পারে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। অবশ্য পার্কটি দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালেন সিরাজগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপারে ৬শ’ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় প্রাকৃতিক শোভাম-িত ইকোপার্কটি।
×