অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্র, ভবিষ্য তহবিল, অর্জিত মুনাফা, বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে অর্জিত মুনাফা ও শ্রমিক ফান্ড থেকে অর্জিত সুবিধাভুগিদের থেকেও ৫ শতাংশ হারে উৎস কর কেঠে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থ আইন ২০১৬ এর ৫২ ডিডি সংযোজন করার ফলে এসব বিনিয়োগের মুনাফায় এ উৎস কর কেঠে রাখতে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শাখায় এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ আইন ২০১৬ এর মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স কোঅর্ডিনেন্স ১৯৮৪ এর সেকসন ৫২ডি এর সংশোধিত সেকসন ৫২ ডি তে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ৫২ ডিডি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে ব্যাক্তি শ্রেণীর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ সুপার এনোয়েশন ফান্ড বা পেনশন ফান্ড, গ্রাচ্যুয়িটি ফান্ড, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, সঞ্চয়পত্রে সুদ প্রদান কালে ৫ শতাংশ হারে উৎস কর কাঠতে হবে। এছাড়া শ্রমিক তহবিল থেকে যেসব শ্রমিক অর্থ পাবেন তার থেকে ও একই হারে উৎস কর কেঠে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এক আয়বছরের এককালীন ৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একই নিদের্শ প্রযোজ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়েজওর্নার ডেভোলাপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, পাউন্ড র্স্টালিং ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও প্রিমিয়াম বন্ড থেকে আয় করা সুদের ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎস কর কেঠে নিতে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থ আইনের এ প্রয়োগ জুলাই থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।