অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির ঘটনা এখন আর রাজধানীবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু অনলাইনে কসাই সরবরাহ একেবারেই নতুন ঘটনা। আর এ নতুন ঘটনাটি ঘটেছে এবছর কোরবারির ঈদে। এ বছর রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে কসাই সরবরাহ করা হয়েছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞাপন দিয়ে কসাই বুকিং হয়েছে অনলাইন পোর্টাল আর সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিহাজারে দুই শ’ টাকা পারিশ্রমিকে কসাই সরবরাহ করেছে এসব সাইট। উদ্যোক্তারা বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানির মাংস প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষিত কসাইয়ের বিকল্প নেই। তবে এ বছর রাজধানীর বাইরে থেকেও প্রচুর কসাই এসেছে ঢাকায় পশুর মাংস প্রস্তুত করতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কসাইরা রাজধানীতে কোরবানির পশুর মাংস প্রস্তুত করেছে। বেশিরভাগ অপেশাদার হলেও তাদের দাবি সারা বছর মাংস প্রস্তুতের কাজ করেন। তবে স্থানীয় কসাইদের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় ঈদের দিন ঢাকার বাইরে থেকে আসা কসাইদের ওপরই নির্র্ভর করতে হয়েছে জানিয়েছেন কোরবানিদাতারা। পশুর দামের ওপর ভিত্তি করে প্রতিহাজারে ৫০ থেকে ১শ’ টাকা নিয়ে কোরবানির পশু কেটেছেন তারা। সিটি কর্পোরেশনের হিসেবে এ বছর রাজধানীতে কোরবানি হয়েছে প্রায় চার লাখ পশু, যার বিপরীতে কসাই ছিল মাত্র ৫০ হাজার। ফলে চাহিদা মেটাতে বেশিরভাগ সময়েই একেকজন কসাই একাই প্রস্তুত করেছেন ৫ থেকে ১০ টি পশু। -স্টাফ রিপোর্টার