ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসিক কলোনিগুলো হারাচ্ছে পুরনো সংস্কৃতি

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আবাসিক কলোনিগুলো হারাচ্ছে পুরনো  সংস্কৃতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সরকারী আবাসিক কলোনিগুলো ধীরে ধীরে হারাচ্ছে তার পুরনো সংস্কৃতি। বহিরাগত বসবাসের পাশাপাশি কলোনিগুলো ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিক কাজে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই। যদিও এসব কলোনির দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরা বলছে, ফ্ল্যাটের বরাদ্দ দেয় সরকারের আবাসন বিভাগ। তাই তাদের হাতেই থাকে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা। আর সরকার বলছে শীঘ্রই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। রাজধানীর মতিঝিল সরকারী কলোনির ৩টি জোনে রয়েছে ১৭২ টি আবাসিক ভবন। যেখানে পরিবারসহ বসবাস করেন প্রায় আড়াই হাজার সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কিন্তু তাদের জন্য নির্ধারিত এসব আবাসিক ভবনের বেশ কয়েকটি বাসায় চলছে রমরমা কোচিং ব্যবসা। শুধু তাই নয় কলোনির ভেতরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও। আজিমপুর সরকারী কলোনি। ১৭০ টি ভবনে বাস করেন প্রায় ২ হাজার পরিবার। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এখানে অনেক ফ্ল্যাটের একটা অংশে সরকারী কর্মচারীদের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে বহিরাগত। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যাদের কাছে দেয়া হয়েছে ভাড়া। এবার আসা যাক রাজধানীর খিলগাঁওয়ের রেলওয়ে কলোনিতে। এখানকার অবস্থা আরও ভয়াবহ। একে তো পরিবেশ বলতে কিছু নেই, তার ওপর সরকারী জায়গায় গড়ে উঠেছে কয়েক শ’ দোকানপাট। পরিণত হয়েছে বড়সড় এক বাজারে। এসব কর্মকা-ের জন্যও আঙ্গুল ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দিকেই। কলোনির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চাইলেই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আর সরকার বলছে, এসব অবৈধ স্থাপনাসহ বহিরাগত বসবাসকারীদের উচ্ছেদের জন্য খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারী হিসেবে, সারা দেশে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ফ্ল্যাট। সারাদেশে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পেলেও খুব শীঘ্রই এ সংখ্যা ৪২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। তাই সরকারের গণপূর্ত অধিদফতরের আবাসিক বিভাগ বলছে, দেশের সরকারী কলোনিগুলোর পুরনো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের পাশাপাশি দায়িত্ব নিতে হবে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দে থাকা কর্মকর্তা আর কর্মচারীদেরও।
×