ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’ কাল

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২২ আগস্ট ২০১৬

প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’ কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবীন্দ্রনাট্য চর্চার জন্য বাংলাদেশে নন্দিত সংগঠন প্রাঙ্গণেমোর। বাংলাদেশের একমাত্র নাট্যদল প্রাঙ্গণেমার যাদের বেশিরভাগ প্রযোজনাই রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী অথবা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। দেশের জনপ্রিয় এ নাট্যদলের অন্যতম প্রশংসিত প্রযোজনা ‘শেষের কবিতা’। এটি দলের ৬ষ্ঠ প্রযোজনা। বেশ কিছুদিন বিরতির পর নাটকটি আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে। কাল নাটকটির ৩১তম মঞ্চায়ন হবে বলে দল সূত্রে জানা গেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস থেকে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হীরা। নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। ‘শেষের কবিতা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন- নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা, আউয়াল রেজা, সরোয়ার সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, চৈতী, কারিমা, জাহিদ, ঊষা, আশা, রিগ্যান, সীমান্ত, মনির, বিপ্লব, বাধন, তুসি। ‘শেষের কবিতা’ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুলপঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতার নাট্যরূপ। শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দুর্লভ অবসরে দুজন দুজনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিণতি ভালবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাস করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিল সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিষ্কার করল সেও ভালবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। রুচির তৃঞ্চা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল। সেই অমিত বন্দী হলো লাবণ্যর প্রেমে। অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সঙ্গে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিল। লাবণ্যর সঙ্গে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী সে আংটি খুলে রাগে-অভিমানে অশ্রুসিক্ত নয়নে শিলং ছেড়ে চেরাপুঞ্জি চলে যায়। অমিত যে আংটিটি লাবণ্যকে পরিয়েছিল সেটিও লাবণ্য ফিরিয়ে দেয় অমিতকে অর্থাৎ অমিত দুজনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত কি করবে ভেবে পায় না। ক’দিন পর চেরাপুঞ্জি থেকে ফিরে এসে অমিত দেখে লাবণ্য চলে গেছে শিলং ছেড়ে। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। তারও কিছুকাল পরে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠির একপাশে ছয় মাস পর শোভনলালের সঙ্গে লাবণ্যর বিয়ের খবর। আর চিঠির অন্যপাশে অমিতের জন্য লেখা একটি দীর্ঘ কবিতা- যেন বহতা দীর্ঘশ্বাস।
×