ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

ভারতে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের উৎসাহিত করে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৬ আগস্ট ২০১৬

ভারতে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের উৎসাহিত করে পাকিস্তান

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সরকারের নীতিতে পাকিস্তানকে রুখে দেয়া যে প্রাধান্য পাচ্ছে এ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন মোদি। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপক হারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘যেসব সন্ত্রাসী ভারতে আক্রমণ চালায় পাকিস্তান তাদের বাহবা দিয়ে থাকে।’ খবর এনডিটিভির। পাকিস্তানকে প্রতিহত করা যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের বর্তমান সরকারের প্রধান নীতি হয়ে উঠছে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি তা বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বেলুচিস্তানে যেমন তেমনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও ব্যাপক হারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়ে চলেছে। ভারত বেলুচিস্তানের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরায় প্রদেশটির অনেক বাসিন্দা যে দিল্লীকে ধন্যবাদ দিয়েছে সে কথাও ভাষণের মধ্যে উল্লেখ করেন মোদি। গত সপ্তাহে মোদি ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ার করে বলেছিনে, ‘পাকিস্তান যদি কাশ্মীর উপত্যকায় সহিংসতায় ইন্ধন যোগানো অব্যাহত রাখে তবে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মদদ যোগানোসহ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সময়ের নির্যাতনের ঘটনাগুলো প্রকাশ করতে ভারত বাধ্য হবে।’ গত মাসের ৮ তারিখ হিযবুল মুজাহিদীন সদস্য বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীর অশান্ত রয়েছে। ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে মোদি প্রথামাফিক ভাষণটি দেন। তার দীর্ঘ ভাষণের শেষের দিকে ছিল পাকিস্তান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, যেসব সন্ত্রাসী ভারতে হামলা চালায় তারা পাকিস্তানের প্রশংসা পায়। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের পেশোয়ারে দুই বছর আগে তালেবানের বন্দুক হামলায় ১৩০টি শিশু নিহত হলে ভারতও ওই দুঃখজনক ঘটনায় সমব্যথী হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি ছিল স্বাধীনতা দিবসের তৃতীয় ভাষণ। তবে কাশ্মীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট ছিল কিছুটা ভিন্ন। বুরহান ওয়ানি হত্যার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হচ্ছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ হাজার লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ অব্যাহত থাকার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। উপত্যকায় টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে কার্ফু বলবৎ রয়েছে। ওয়ানিকে ভারত একজন সন্ত্রাসী ও পাকিস্তান একজন শহীদ বলে দাবি করেছে। ক্ষমতায় আসার পর মোদি প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগ নিলেও গত এক মাসের ঘটনায় তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে বলেই মনে হয়।
×