ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে মহেশখালের ওপর নির্মিত বাঁধ যেন গলার ফাঁস

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৩ আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামে মহেশখালের ওপর নির্মিত বাঁধ যেন গলার ফাঁস

স্টাফ রিপোর্টার॥ চট্টগ্রামের মহেশখালের ওপর নির্মিত বাঁধ যেন গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে দু’পারের মানুষের জন্য। বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানি যথাযথ নিষ্কাশন না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন আগ্রাবাদের বাসিন্দারা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, পরিকল্পনা ছাড়া বাঁধ নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত আগ্রাবাদ, আগ্রাবাদ সিডিএ, বড়পোল, ছোটপোল, হালিশহরসহ আশপাশের গোটা এলাকা। হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এলাকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি দিতে গত বছর বন্দর ক্লাব এলাকায় মহেশখালের ওপর বাঁধ নির্মাণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এটি কোন উপকারে তো আসেইনি বরং উল্টো ভোগান্তি বাড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। স্বাভাবিক সময়ে জোয়ার-ভাটায় প্রতিদিন চারবার গেট বাল্ব খোলা ও বন্ধ করা হয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলে গেট বাল্ব একেবারে বন্ধ রেখে উজানের দিকে পানি সরাতে হয় পাম্প দিয়ে। এতে জোয়ারের কারণে উজানে আর বৃষ্টির কারণে ভাটি অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। আর জলাবদ্ধতার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদরা দায়ী করছেন অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণকে। অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে খালের মুখে নতুন সøুইস গেট নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। চার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি নির্মাণের পর জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় বাঁধ সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এলাকাবাসী।
×