তুরস্ক সরকারের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাখান করেছেন দেশটির ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইপ এরদোগানকে উৎখাত করতে গত ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নির্দেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি অবশ্য প্রথম থেকেই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। খবর এএফপির।
সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র খবরে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই অভ্যুত্থানের নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানাকে অর্থহীন উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা গৎবাধা বিচার ব্যবস্থার একটি উদাহরণ। তিনি এও বলেন, দেশটির বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্কের একটি আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আমার মর্যাদা ও মতের পরিবর্তন করতে পারেনি। একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন সময় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নিন্দা জানানোর কথা এবং এ সম্পর্কে আগাম তথ্য জানা বা এর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করার কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এটা সুপ্রতিষ্ঠিত যে স্বাধীনতা ছাড়াই তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা চলে। সুতরাং এই গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কতৃর্ত্বপরায়ণতা ও গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে থাকার পদক্ষেপেরই একটি উদাহরণ। এদিকে বিস্ময়কর একটি খবর হল, এরদোগান বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি চলতি মাসের শেষে তুরস্ক সফরের পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এটা নিশ্চিত করেনি।
এরদোগান রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন টিআরটিকে বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী ২১ তারিখ জন কেরি আসছেন।’ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে তুরস্ক।