যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচার শিবিরের কম্পিউটারে সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপের মধ্যে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, পেশাদারদের সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে সরকারের অনেক সংস্থা। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) জানিয়েছে, ২০টি সরকারী সংস্থার নেটওয়ার্কে ‘সাইবার স্পাইং ভাইরাস’ পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সাইবার হামলার খবর প্রকাশ হয়। এজন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে রুশ সরকার।
রাশিয়ান নেটওয়ার্কে কারা হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু বলেনি এফএসবি।
তারা বলছে, ‘পরিকল্পিতভাবে ও পেশাদারিত্বের’ সঙ্গে এ সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রীয় সংস্থার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ও প্রতিরক্ষা কোম্পানিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ’ অবকাঠামোগুলোকেও বেছে নেয়া হয়েছে। এফএসবির ভাষ্য অনুযায়ী, এ ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকাররা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাতে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন চালু, স্ক্রিনশট নেয়া এবং কি-বোর্ডে নজরদারির মাধ্যমে কী টাইপ করা হচ্ছে তা শনাক্ত করতে পারে। ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেশনাল ক্যাম্পেন কমিটির ওপরও সাইবার হামলার খবর এসেছে। ডিএনসির ই-মেল পরে উইকিলিকস ফাঁস করেছে, যাতে দেখা গেছে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাইমারিতে হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডারসের বিপক্ষে কাজ করেন দলের নেতারা।
রুশ হ্যাকাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের। ক্রেমলিন কয়েক দফায় এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে এবং প্রেসিডেন্ট পদে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার সঙ্গে রাশিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। হিলারির প্রচার শিবির শুক্রবার বলেছে, হ্যাকাররা অন্তত পাঁচ দিন ধরে বিশ্লেষণধর্মী প্রোগ্রামের সার্ভারে অনুপ্রবেশ করেছে। ভোটার বিশ্লেষণে প্রচার শিবির যেসব সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রোগ্রাম সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাম্প্রতিক এ সাইবার হামলার তদন্ত করছে বলে এফবিআই জানিয়েছে।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
