ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত বিল বকেয়া

বগুড়া পৌর ভবন, পানির পাম্প ও সড়কবাতির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৬ জুলাই ২০১৬

বগুড়া পৌর ভবন, পানির পাম্প ও সড়কবাতির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বকেয়া বিদ্যুত বিলের কারণে বগুড়া পৌর ভবন পানির পাম্প ও সড়ক বাতির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড। পৌরসভার নিকট বগুড়ার ৩টি বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের পাওনা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বে¡ও বকেয়া বিলের টাকা পরিশোধের বিষয়ে পৌর মেয়র কোন পদক্ষেপ নেননি। আর পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিলের কারণ হিসাবে ফান্ড স্বল্পতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এদিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে পৌর সভার প্রায় ৬ হাজার পানির গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন আরও ১১ হাজার গ্রাহক। গ্রাহকরা বলছেন, জনস্বার্থেই মেয়রের উচিত বিদ্যুত বিভাগের সাথে বসে দ্রুত সমাধান করা। বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বগুড়া পৌরসভার এক জরুরী সভা থেকে পুনর্সংযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসান ও বিদ্যুত বিভাগের প্রতি আবেদন জানিয়েেেছন। অপর দিকে ঈদের আগে পৌরসভার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগের শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের নিকট ৮/১০ বছর ধরে পিডিবির বকেয়া বিলের টাকা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। ক্রমান্বয়ে এই বকেয়া বেড়ে চললেও পৌরসভা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সোমবার বগুড়া বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণের ৩টি বিভাগের (১,২,৩) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সকাল থেকে বগুড়া পৌরসভা ভবনসহ শহরের জলেশ্বরীতলা, শেরপুর রোড, মালতিনগর, রহমান নগর, নূর মসজিদ লেন, এস চ্যাটার্জি লেন, বকশীবাজার, জহুরুল নগর, বাদুরতলা, নামাজগড়, চকসূত্রাপুর, প্রেস পট্টি, ঝাউতলা, বড়গোলা, দত্তবাড়ী, কাটনারপাড়া করনেশন স্কুল, হাকিরমোড়, শিববাটি এলাকার সড়ক বাতির একাংশের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, বগুড়া পৌরসভার ১৫৮টি সংযোগ রয়েছে। এরমধ্যে সোমবারের অভিযানে পৌরভবনসহ ৩৬টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একারণে পৌরসভার ১৪টি পানির পাম্পের মধ্যে ৪টির বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বগুড়া বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ৩ নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বকোয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধের জন্য পৌরকর্তৃপক্ষকে বার বার লিখিতসহ বিভিন্নভাবে বিদ্যুত বিভাগের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হলেও পৌরসভার সাড়া মিলেনি। বাধ্য হয়ে উর্ধতন কর্তপক্ষের নির্দেশে নোটিস দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঈদ বা রমজান নয় জুন মাসের টার্গেট পূরণ করতে বিদ্যুত বিভাগ অভিযান চালিয়েছে বলে ৩ নির্বাহী প্রকৌশলীই জানিয়েছেন। অপর দিকে বগুড়া পৌর মেয়র বিদ্যুত বিভাগের নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, পৌরসভার ফান্ড সঙ্কট রয়েছে। বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে গেলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া বিদ্যুত বিভাগ অতিরিক্ত বিলসহ বিদ্যুত বিভাগের কাছেও বিদ্যুতের পোল বসানো বাবদ পাওনা রয়েছে। এদিকে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বগুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ পুনরায় দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুত বিভাগের নিকট অনুরোধ জানান হয়।
×