ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৩ জুলাই ২০১৬

বিদায়ী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। আগের অর্থবছরে (জুলাই ’১৪-জুন ’১৫) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বিগত অর্থবছরে (জুলাই ’১৫-জুন ’১৬) এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে বিদায়ী অর্থবছরের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি সার্বিকভাবে কিছুটা বেড়েছে। জুন মাস শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশে। আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের মাসে এ হার ছিল ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। অপরদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে। আগের মাসে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কম হয়েছে। এটা একটি সরকারের অন্যতম সাফল্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জুন মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে, তার আগের মাসে ছিল এ হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুত সংযোগ প্রত্যাশী ৯০ শতাংশ পরিবারের মাঝে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুত’ এই স্লোগান ধারণ করে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর সেই লক্ষ্যে সোনার বাংলা গড়তে প্রতি মাসে নতুন লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যুত সংযোগের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সারাদেশে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুধু গত জুন’২০১৬ মাসে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনস্ত ৭৮টি পল্লী বিদ্যুত সমিতির মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতাধীন এলাকায় ১ লাখ ৫৯ হাজার গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। সব মিলিয়ে বাপবিবো জুন-২০১৬ পর্যন্ত সারাদেশে ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এনেছে। যা বাপবিবো এবং পল্লী বিদ্যুত সমিতিসমূহের একটি বিশাল অর্জন এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনের গতিশীল নেতৃত্ব, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে এই বিপুলসংখ্যক পরিবারকে বিদ্যুত সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই সফলতা অর্জন করায় বাপবিবোর্ড এবং ৭৮টি পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।-বিজ্ঞপ্তি।
×