ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার পরিকল্পনা ঝিমিয়ে পড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৫ জুন ২০১৬

সিলেটে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার  পরিকল্পনা ঝিমিয়ে পড়েছে

সালাম মশরুর, সিলেট অফিস ॥ পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঝিমিয়ে পড়েছে। সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার ‘বিশেষ পরিকল্পনা’ নিয়ে ঢাকঢোল পেটালেও বাস্তবায়নের কোন অগ্রগতি নেই। সিলেট সিটি কর্পোরেশন শহরকে ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে গত মাসে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সিসিকের এ ঘোষণায় নগরবাসীও পরিচ্ছন্ন নগরীর স্বাদ গ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সিসিকের ওই পরিকল্পনার ঘোষণা শুরুতেই ঝিমিয়ে পড়েছে। তেমন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, গৃহীত বিশেষ পরিকল্পনা অনুসারে নগরীর বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পয়েন্ট এবং পূর্ব জিন্দাবাজারের জেল রোড পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে মির্জাজাঙ্গাল এলাকা পর্যন্ত বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। পরিকল্পনামতে এসব এলাকায় রাস্তায় অবৈধ স্থাপনা, নির্মাণসামগ্রী, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ভাসমান হকারমুক্ত রেখে সৌন্দর্যবর্ধনের ব্যবস্থা নেয়। পরিকল্পনার আওতায় এসব স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য অর্ধশতাধিক বিশেষ বিন রাখা হবে। এসব এলাকার সড়কে স্ট্যান্ড সাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনাও প্রচার করবে সিসিক। সিটি কর্পোরেশনের এ বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে একটি ‘বিশেষ টিম’। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ টিমের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পরিকল্পনা গ্রহণের মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে আধুনিক ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এসব এলাকার ফুটপাথ থেকে একাধিকবার হকারদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়েও ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখা যায়নি। এছাড়া নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টের অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদের চেষ্টা করেও ফলপ্রসূ হয়নি। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সিসিকের ‘বিশেষ পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে সব ধরনের তৎপরতায়ই ভাটা পড়েছে। বিশেষ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে নগরবাসী এখন হতাশায় ভুগছেন। এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিসিক বদ্ধপরিকর। ঈদের কারণে ফুটপাথ থেকে হকারদের সরানো যাচ্ছে না। এছাড়া অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ডের বিষয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা কয়েকটি গাড়ি রাখার কথা বলেছেন। ঈদের পর এ বিষয়ে আবার বসব আমরা। এছাড়া পরিকল্পিত এলাকায় আরও আধুনিক ডাস্টবিন বসানো হবে।
×