ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

জি-৭ নেতৃবৃন্দের আশঙ্কা প্রকাশ

ব্রিটেন ইইউ ছাড়লে ব্যাহত হতে পারে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৮ মে ২০১৬

ব্রিটেন ইইউ ছাড়লে ব্যাহত  হতে পারে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি

ব্রিটেন ইইউ ছাড়লে তা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে বলে শিল্পোন্নত সাত জাতি জোট জি-৭ এর নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার টোকিওতে শুরু হওয়া দুইদিনের জি-৭ সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আগামী মাসের ২৩ তারিখ ২৮ জাতি জোটে ব্রিটেনের থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন চান তার দেশে ইইউ জোট ত্যাগ না করুক। গতি রবিবার জাপানের সেন্ডাই শহরে অনুষ্ঠিত জি-৭ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জি-৭ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও ব্রিটেনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য এলো। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। তারা সব রকম সংরক্ষণবাদ নীতি পরিহার করার জন্যও আন্তর্জাতিক বাজারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া সম্মেলনে অভিবাসন ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উচ্চাভিলাস নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে সদ্য পরিচালিত বিভিন্ন জনমত জরিপ থেকে আভাস পাওয়া গেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকার পক্ষে ক্রমশ জনমত জোরদার হচ্ছে। জরিপগুলোর গড় ফল থেকে দেখা যায়, ইইউতে থাকতে রাজি যারা তারা ইইউ ত্যাগ ইচ্ছুকদের তুলনায় তুলনায় ৫৩-৪৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছে। গবেষণা সংস্থা হোয়াট ইউকে থিঙ্ক বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এমন বয়স্ক ও রক্ষণশীল ভোটার যারা কিছুদিন আগেও ইইউ ছাড়তে উদগ্রীব ছিলেন তারাও এখনও মত পাল্টাতে শুরু করেছেন, মঙ্গলবার ডেইলি টেলিগ্রাফ প্রকাশিত ওআরবি ইনস্টিটিউটের জনমত সমীক্ষার ফলে এ কথাই বলা হয়েছে। রাজনৈতিক ভাষ্যকার লিন্টন ক্রসবি ওই পত্রিকায় লিখেছেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে ইইউর সমর্থকদের দল অনেক ভারি হয়েছে, অন্যদিকে ইইউ ছাড়তে আগ্রহীদের মধ্যে বাড়ছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। ইইউ ত্যাগ যাকে চলতি কথায় ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে তার সমর্থকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনীতি।
×