ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশী অভিযানের মধ্যেই জামান পত্রিকার শেষ সংস্করণ প্রকাশ

‘তুরস্কে গণমাধ্যমের ইতিহাসে কালো দিন’

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৭ মার্চ ২০১৬

‘তুরস্কে গণমাধ্যমের  ইতিহাসে কালো  দিন’

তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত জামান পত্রিকার শেষ সংস্করণ সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও পুলিশী অভিযানের মধ্যেই শুক্রবার রাতে প্রকাশিত হয়। শনিবারের এ সংস্করণে পত্রিকায় তাদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের কড়া প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, দিনটি তুরস্কের গণমাধ্যমের ইতিহাসে অন্যতম ‘কালো দিন’। খবর বিবিসির। পত্রিকার কার্যালয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশী অভিযান শুরুর ঠিক আগেই জামান পত্রিকার এ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির ইংরেজী সংস্করণে লেখা হয়- তুরস্কের মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য দিনটি লজ্জার। জামান পত্রিকাকে শুক্রবার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে এর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। পত্রিকাটির প্রচার সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার। এ নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে পত্রিকার পাঁচ শ’ পাঠক-সমর্থক শনিবার ইস্তাম্বুলে প্রধান কার্যালয়ের বাইরে আবারও অবস্থান নেয়। বাক্স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করে তাদের থামানো যাবে না বলে বিক্ষোভকারীরা সেøাগান দিলে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ইস্তাম্বুলের এক সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আয়াসুন বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বড় দল ও দাঙ্গা পুলিশ আমাদের প্রধান কার্যালয়ে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে জলকামান ও টিযারগ্যাস ব্যবহার শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড ছিল না। লোকজন কেবল আমাদের সমর্থন জানিয়ে সেøাগান দিচ্ছিল। পুলিশের অভিযানের পর সংবাদকর্মীরা অনেকেই কাজ শুরু করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে অনেকেই বার্তা দেন যে, তাদের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া কঠিন হচ্ছে। অনেকে ই-মেইলে ঢুকতে পারছেন না বলে জানান। আবদুল্লাহ বজতুরত নামে এক প্রতিবেদক বলেন, পত্রিকার অনলাইন আর্কাইভ নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা চলেছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভোতগলু দেশটির এক টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, এ অভিযান ছিল আইনী, রাজনৈতিক নয়। জামান পত্রিকাটি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের কঠোর সমালোচক বলে পরিচিত। তুরস্ক সরকার মনে করে, জামান পত্রিকা প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে উৎখাত করতে চায়।
×