১৩ হাজার বর্গ কি.মি. এলাকা নিয়ে গঠিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাক্ষেত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে রয়েছে ১৪ উপজাতি। এরা হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, ম্রো, পাংখোয়া, বম, খিয়াং, লুসাই, চাক, খুমি, সেওতাল, রিয়াং ও উসুই্। এদের আলাদা আলাদা ভাষা থাকলেও বর্ণ রয়েছে প্রধান ১১ উপজাতির। অ
ন্যদের ভাষা আছে, বর্ণ নেই। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান মিলে উপজাতি জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা রয়েছে আট লাখ ৪৬ হাজার পাঁচ শ’ ৪১।
এদের মধ্যে প্রথমে রয়েছে চাকমা, এরপর মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, ম্রো ও বম। অন্যান্য উপজাতির সংখ্যা খুব বেশি নয়।
এই সব উপজাতির আলাদা গান, গল্প, নাটক ও রূপকথার কাহিনী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বইপুস্তক রয়েছে চাকমা ভাষায়। এর পরে রয়েছে মারমাদের ও ত্রিপুরাদের।
অন্যান্য উপজাতির কমবেশি গল্প কাহিনী রয়েছে। ‘এই দিকে আসুন’ বাংলা ভাষার এই কথাটি চাকমারা বলে ‘ইদু এজ’।
মারমারা বলে ‘লে দোলে’, ত্রিপুরারা বলে ‘ইজাং হাইদি’, তঞ্চঙ্গারা বলে ‘ইরু আই’, বমরা বলে, ‘হংরি’, ম্রোরা বলে ‘মর্প্রা ওয়াংদিয়া’।
উপজাতিদের নিজস্ব ভাষার কয়েকটি ছড়া Ñ
চাকমা ছড়াÑ
ধান খেলে মুরোত যা
পানি খেলে ছড়াত যা।
মারমা ছড়াÑ
ছারা মিফা
রোসে ক্রা
ত্রিপুরা ছড়াÑ
বৈসু আওয়াঁ বানাং না
বৈসু চামুং টারাইনা
ম্রো ছড়াÑ
আং দক দাম আং দক দাম
সংক, সংপম, কাম-ইয়াও- লাও
Ñমোহাম্মদ আলী
রাঙ্গামাটি থেকে