নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ৮ ফেব্রুয়ারি ॥ পার্বত্যাঞ্চলের ১৬ লাখ মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে স্থাপিত করোনারি ইউনিট ৭ বছরেও চালু হয়নি। এ বিশেষায়িত ইউনিটের ভবন তৈরির পর ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দিপংকর তালুকদার ৫ তলা এ ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এ ভবনটি পরিত্যক্ত থাকে। সময়ের ব্যবধানে নতুন ভবনটিতে শেওলা জমেছে আর এর আসবাবপত্রে ধুলাবালি ও ময়লার স্তূপ পড়েছে। যন্ত্রপাতির অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৩ কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত এ বহুতল ভবনটি। হৃদরোগের যন্ত্রপাতি না আসায় ২০১৫ সাল থেকে সেখানে স্থাপন করা হয়েছে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ের পশ্চাৎপদ মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের দুটি জেলা রাঙ্গামাটি ও বরিশালে সিসি ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে গণপূর্ত অধিদফতর রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের পাশে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ইউনিটের আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে করোনারি কেয়ার ইউনিটের কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি। সিসি ইউনিটের হৃদরোগের জন্য দুটি কেবিনসহ ২০ শয্যার দুটি ওয়ার্ড নির্মিত হলেও এখনও পর্যন্ত ইউনিটে কোন শয্যা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষ করেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালু না করায় পাহাড়ের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
প্রসূতির মৃত্যু ॥ দু’দিন পর নবজাতক পেল নানির কোল
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের জন্মের পর মৃত্যু হয় প্রসূতি মায়ের। এরপর অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে থাকে শিশুটি। টানা দুই দিন নবজাতকের খোঁজ নিতে আসেনি কেউ। তবে ফেলে রাখেননি নার্সরা। হাসপাতালের ডিউটিরত নার্সরাই তার দেখভাল করছিলেন। অবশেষে জন্মের দুই দিন পর ফুটফুটে এ নবজাতকের আশ্রয় হলো নানির কোলে। জন্মের দুই দিন পর সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রাম থেকে ছুটে এসে নার্সদের তত্ত্বাবধানে থাকা শিশুটিকে বুঝে নিয়েছেন নানি হোসনে আরা। নবজাতক শিশুটি এখন তার যতেœই আছে।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে অন্তঃসত্ত্বা নারগিস ভর্তি হন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২২ নম্বর প্রসূতি ওয়ার্ডে। গত বৃহস্পতিবার সেখানেই জন্ম নেয় শিশুটি। জন্মের পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় নবজাতককে নেয়া হয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্যদিকে সন্তান জন্ম দেয়ার পর প্রসূতি নারগিসও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার তিনি মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে চলে যায় হাসপাতাল থেকে। সবাই যেন ভুলে যান নবজাতকের কথা। ফলে হাসপাতালের বেডে অভিভাবকহীন পড়ে থাকে নারগিসের নবজাতক। ভর্তির সময় প্রসূতি তার ঠিকানায় উল্লেখ করেছিল রাজশাহী নগরীর সপুরার নওদাপাড়া এলাকায়। তবে নবজাতক শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নেয়ার সময় তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করা হলেও ঠিকানা লেখা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাকিমপুরে। দুই ঠিকানা নিয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে যায়। অবশেষে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাকিমপুর থেকে নবজাতকের সন্ধানে হাসপাতালে ছুটে আসেন নানি হোসনে আরা।