ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা রয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা রয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ছয় মাসের জন্য বৃহস্পতিবারে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য যথেষ্ট প্রণোদনা রয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল। তিনি জানান, নীতি সুদহার বলে পরিচিত রেপো ও রিভার্স রেপোর হার কমানোর ফলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা কালে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, শেয়ার বাজারের দায় দায়িত্ব সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেয় না। ওয়াল স্ট্রিটের দায়িত্ব কিন্তু ফেডারেল রিজার্ভ নেয় নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসিগুলো শেয়ার বাজারকে সরাসরি প্রভাবিত করে। এবারের পলিসিগুলো পুঁজিবাজারকে উজ্জীবিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। পরে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগের প্রভিশন সংরক্ষণ নীতিমালা সহজ করা হয়েছে, যা বাজার স্বচ্ছন্দভাব ফিরিয়ে এনেছে। বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল বা সমজাতীয় তহবিলে ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব থেকে আলাদা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত মূলধন ঋণ পুঁজিবাজার বিনিয়োগের হিসাবায়নের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজার ব্যাংকের বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ তিনটি সুবিধা দেয়ার ফলে আগামী জুনের মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার মধ্যে নিয়ে আসার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা অনেকটাই পূরণ হয়েছ। দু-একটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলোর বিনিয়োগ জুনের মধ্যেই নির্ধারিত সীমায় চলে আসছে। একই সাথে ব্যাংকের নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে। এসব মিলিয়ে এ মুদ্রানীতিকে পুঁজিবাজারবান্ধব বলা যায় বলে মনে করেন বিরুপাক্ষ পাল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, আগামী ছয় মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি এক কথায় পুুঁজিবাজার বান্ধব। কারণ ব্যাংকের পড়ে থাকা অলস টাকা নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান নিজ ক্ষমতাবলে ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস) মূলধনকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সীমার বাইরে রেখেছেন। তবে মুদ্রানীতিতে ব্যাংকগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর ঘোষণাটি আসলে বাজারেরও জন্য আরও ইতিবাচক হতো।
×