ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চাহিদার চেয়েও দ্বিগুণ লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৯ মে ২০১৫

চাহিদার চেয়েও দ্বিগুণ  লবণ উৎপাদনের  সম্ভাবনা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ দেশের প্রধান লবণ উৎপাদনকারী জেলা কক্সবাজারে চলতি বছরেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) কক্সবাজার আঞ্চলিক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর ২০১৫ সালে দেশে লবণের চাহিদা রয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টন। আর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ টন। ২০১৪ সালের নবেম্বর মাস থেকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী (আংশিক) উপজেলার ১৩ কেন্দ্রের অধীনে প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষে চাষীরা আশানুরূপ সফলতা অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টন। মৌসুম শেষ হতে আরও দুই মাস সময় রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৪ সালেও দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টন। ওই সময় লবণের চাহিদা দেখানো হয় ১৪ লাখ ৫৮ হাজার টন। আর লক্ষ্যামাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬ লাখ টন। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গেল বছর লক্ষ্যমাত্রা ডিঙ্গিয়ে দেশে অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার টন। যা চাহিদার চেয়ে প্রায় তিন লাখ টন বেশি। বিসিকের হিসাবে গেল বছর দেশে তিন লাখ টন লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি বছর ১৩ কেন্দ্রের অধীনে ৬০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করা হয়। তার মধ্যে চকরিয়া দরবেশকাটা কেন্দ্রে (পেকুয়াসহ) ১২ হাজার ৩৭৫ একর, ডুলাহাজারা কেন্দ্রে ৪৭৫ একর, খুটাখালী ফুলছড়ি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৭৬ একর, কুতুবদিয়া লেমশীখালী কেন্দ্রে ৬ হাজার ৪৪৪ একর, মহেশখালী উত্তর নরবিলা কেন্দ্রে ৭ হাজার ৪শ’ একর, গোরকঘাটা কেন্দ্রে ৮ হাজার ৫৭৭ একর, মাতারবাড়ি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৮০৬ একর, কক্সবাজার সদর গোমাতলী কেন্দ্রে ৪ হাজার এক একর, চৌফলদ-ি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২শ’ একর, বাঁশখালী সরল কেন্দ্রে ১ হাজার ৪২১ একর, পূর্ব বড়ঘোনা কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯০ একর, টেকনাফে ৩ হাজার ৯শ’ একর ও বিসিকের প্রদর্শনী কেন্দ্রে ৮৬ একর জমিতে পলিথিন ও সনাতন পদ্ধতিতে লবণ চাষ করা হয়েছে। চকরিয়া বদরখালীর লবণ চাষী মোহাম্মদ এখলাছ, নুরুল কবিরসহ অনেকে জানান, চলতি বছর উৎপাদনের পরিমাণ ১৮ লাখ টন নির্ধারণ করা হলেও প্রাকৃতিক বৈরী পরিবেশের কারণে গেল ছয় মাসে সন্তোষজনক লবণ উৎপাদন করতে পারেনি চাষীরা।
×