
বন্দর থানাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারি কাজ চালু করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলার দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হরিপুর পাওয়ার হাউসের ঠিকাদারি কাজে মীমাংসা করতে এসে এই ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আতাউর রহমান মুকুলের শরীরের অন্তর্বাস ব্যতীত আর কিছুই নেই। এসময় তাকে গালিগালাজ ও আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিহিত করছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা।পাশেই পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
আহত আতাউর রহমান মুকুল সাংবাদিকদের জানান, “বন্দরের হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহের একটি টেন্ডার আমরা পেয়েছি। আজকে ওয়ার্ক অর্ডারে সইয়ের শেষ দিন ছিল। সম্ভাব্য ঝামেলার আশঙ্কায় থানায় জিডি করে চারজন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতা বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু ও তার নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন লোক অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, “২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগপন্থি আলাউদ্দিন একটি ঠিকাদারি নিয়েছে। মুকুল তার পক্ষ নিয়ে কাজ করতে আসেন। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হেনস্তা করেছে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
এ ব্যাপারে বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বলেন, "আতাউর রহমান মুকুল সাহেব স্থানীয় উত্তেজিত জনতা কর্তৃক আক্রান্ত হলে বন্দর থানা পুলিশে সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।"
পরবর্তীতে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আতাউর রহমান মুকুলকে হেনস্তার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলেই রয়েছে।
Mily