
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক পণ্য আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ২৮ জুন (শনিবার) ভুক্তভোগীরা আনোয়ারা থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বটতলীর রুস্তমহাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম ও পশ্চিম বৈরাগ এলাকার ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হকের দোকানে ফোন করে এক ব্যক্তি নিজেকে “ওসি মো. মনির, আনোয়ারা থানা” পরিচয় দিয়ে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রতারক একাধিকবার ফোন করে নির্ধারিত ঠিকানায় পিকআপ ভ্যান পাঠিয়ে মালামাল গ্রহণ করেন এবং বিকাশ অথবা অফিসারের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
২৭ জুন সকালে ইব্রাহিম ২৯,৫০০ টাকা মূল্যের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ এবং জিয়াউল ২৪,৪৯০ টাকা মূল্যের একটি স্মার্ট টিভি ও ৭,০০০ টাকার দুটি সিলিং ফ্যান সরবরাহ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতারকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং কোনো অর্থ পরিশোধ হয়নি।
উভয় ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ছিল একই—০১৭৯৮ ৩৬৩২৮০। পিকআপ চালকের নম্বরও এক (০১৭৪১৭০৬৪০৯)। থানায় খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রতারক আসলে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নন।
ভুক্তভোগী মো. জিয়াউল হক জানান, প্রতারকচক্রের একটি মোবাইল নম্বর থেকে তিনি কয়েকবার চ্যাট করেন। ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে থানার ওসির ছবি দেখতে পেয়ে তিনি প্রতারকদের কথা বিশ্বাস করেন। পরে প্রতারকচক্র তাঁর সিঙ্গার ব্র্যান্ডের ২৪,৪৯০ টাকা মূল্যের একটি স্মার্ট টিভি ও ৭,০০০ টাকা মূল্যের দুটি ফ্যান নিয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে, আরেক ভুক্তভোগী মো. ইব্রাহিম বলেন, “প্রতারকরা আমার ২৯,৫০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ নিয়ে গেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানার পক্ষ থেকে উদ্ধারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, "অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতারককে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আবির