
দেশের ১০ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলদে পাখি কার্যক্রমের ১৭ শিক্ষার্থীকে ‘নীল কমল অ্যাওয়ার্ড‘ দিয়েছে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস। এরমধ্যে ছয়জনই যশোরের তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোববার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের গাইড অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর যারা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন রাজধানী অঞ্চলের, ছয়জন খুলনা অঞ্চলের, একজন ময়মনসিংহ অঞ্চলের ও চারজন রাজশাহী অঞ্চলের।
খুলনা অঞ্চল থেকে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলো, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তাসনিম মাহবুব, যশোর কালেক্টরেট স্কুলের অঙ্কনা পাল, মিনহা রহমান সুপ্ত ও জুনাইনা আক্তার এবং মধুসূদন তারা প্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয়ের শাইলা আক্তার বৃষ্টি ও পিহু মাহমুদ।
রাজধানী অঞ্চল থেকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে-রাজধানী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সানায়াহ্ আলম, মধুবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাদিজা আক্তার, বিহঙ্গ মুক্ত ঝাঁক’এর নুসাইবা নুজহাত, মডেল একাডেমির ফাবিহা আনবার, হুমাইরা রহমান আমিরা ও মুনতাহা মানহা, রাজশাহী অঞ্চলের ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাইসা ইসলাম, মোসা. সুমাইয়া বিশ্বাস, মুনতাহা স্বর্ণ ও ফারিহা জান্নাত তোয়া, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৭১নং সোলায়মান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নূর-ই-মোহাম্মদ।
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেসা বেগম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন হলদে পাখি কমিশনার বেলা রানী সরকার। তিনি বলেন, ছয় থেকে ১০ বছর বয়সী হলদে পাখিরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা পাখির মতো উড়ে উড়ে ভালো কাজের মাধ্যমে দেশ গড়ায় অংশ নেবে।
অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আহমেদ বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি হলদে পাখিদের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে যারা আজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে, তাদের অভিনন্দন জানাই। আমরা আশাকরি, আগামীতে আরও অনেকের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দিতে পারব আমরা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গার্ল গাইডসের ডেপুটি জাতীয় কমিশনার (প্রশাসন) সাবিনা ফেরদৌস।
উপস্থিত ছিলেন গাইডার, হলদে পাখির সদস্য, অভিভাবক ছাড়াও কার্যনির্বাহীর সদস্য ও জেলা পর্যায়ের কমিশনাররা।
Jahan