ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

কোয়েল পাখির খামারে লাভবান লালমোহনের সাইফুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমোহন, ভোলা

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১৯ জুন ২০২৫

কোয়েল পাখির খামারে লাভবান লালমোহনের সাইফুল

কোয়েলের ডিম সংগ্রহ করছেন খামারী

৩০ বছর বয়সী যুবক সাইফুল ইসলাম ফরিদ। গত ৩ মাস আগে শখের বশে ১৫শ’ কোয়েল পাখি নিয়ে নিজ বসতঘরের ছাদে খামার শুরু করে। তার স্বপ্ন ছিলো ডিম বিক্রি করে লাভবান হওয়া। কিন্তু  ১৫শ’ পাখির মধ্যে বেশির ভাগই ছিল পুরুষ পাখি। মাত্র ৫শ’ ছিলো ডিম পারা পাখি। এক হাজার পুরুষ কোয়েল পাখি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করে বাকি ৫শ’ ডিম পারা কোয়েল পাখি নিয়ে বর্তমানে তার খামার।

এই খামার থেকে গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন চারশত থেকে সাড়ে চারশত ডিম সংগ্রহ করছেন যুবক সাইফুল ইসলাম ফরিদ। প্রতি পিস ডিম খুচরা ৩ টাকা ও পাইকারী আড়াই টাকায় বিক্রি করছেন। এতে করে তার প্রতি মাসে বিক্রি হয় ৫০ হাজার টাকার ডিম। খরচ বাদে তার প্রতি মাসে আয় অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। সাইফুল ইসলাম ফরিদ ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড পাঙ্গাসিয়া এলাকার মৌলভী বাড়ির মাকসুদ উল্লাহর ছেলে।  
সাইফুল ইসলাম ফরিদ বলেন, গত ৩ মাস আগে অনেকটা শখের বশে ১৫শ’ কোয়েল পাখি নিয়ে আমাদের বসতঘরের ছাদে খামার করি। এতে আমার মোট খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। ১৫শ’ এর মধ্যে প্রায় এক হাজার পুরুষ পাখি হওয়ায় তা বিক্রি করে বাকি ৫শ’ পাখি নিয়ে চলছে আমার খামার। ৫শ’ পাখি থেকে প্রতিদিন চারশত থেকে সাড়ে চারশত ডিম পাচ্ছি।  বর্তমানে খামারে পাখির সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন যে সব ডিম হয় তা খুচরাই বিক্রি করতে পারি। এ ছাড়া বীজ ডিম প্রতি পিস ৪ টাকা এবং বাচ্চা প্রতি পিস ৮ টাকায় বিক্রি করছি।

এতে করে মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয়। লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রইস উদ্দিন জানান, কোয়েলের মাংস ও ডিম প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য উপকারী। পশু ও পাখির খামারের যেসব নতুন উদ্যোক্তা রয়েছেন আমাদের অফিস থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকি।

×