
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন এবং কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস থামিয়ে রেলপথ অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চলে। দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাফিস আক্তার সিদ্দিক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য লাজিব আক্তারের নেতৃত্ব চলা কর্মসূচিতে দু'শতাধিক ভূক্তভোগী অংশ নেন।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, জয়রামপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হলেও এখানে কোন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এতে করে শিক্ষার্থী, রোগী ও কর্মজীবী সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা রাজশাহী থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়রামপুর স্টেশনে আটকে দেন। এতে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং সৃষ্টি হয় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ। ঘটনার পরপরই রেলওয়ে কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সাথে মোবাইল ফোনে আলোচনা শুরু করেন। একপর্যায়ে এক মাসের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে, রেলপথে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জয়রামপুর স্টেশন থেকে খুব কাছেই রয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা হল্ট স্টেশন। উভয় স্টেশনেই কপোতাক্ষ ও সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস নিয়মিত যাত্রাবিরতি দেয়। সেই প্রেক্ষাপটে জয়রামপুরে যাত্রাবিরতির দাবি আপাতদৃষ্টিতে অযৌক্তিক বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে জনসাধারণের আবেগ ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের দাবির পেছনে বাস্তবতা কতটা রয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে চাই।
চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন মাষ্টার মিজানুর রহমান বলেন, ট্রেন স্টপেজের দাবিতে স্থানীয়রা রেললাইন অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে বলে জানতে পেরেছি। অবরোধের কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জয়রামপুর স্টেশন বহুদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসেবে পরিচিত হলেও আন্তঃনগর ট্রেনের কোনো যাত্রাবিরতি না থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। আজকের আন্দোলন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
Jahan