চন্দনাইশে এলজিইডি’র গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত 

টানা ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গ্রামীণ জনপদের এলজিইডির সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাগিচাহাট এলাকা থেকে আব্দুল বারীহাট পর্যন্ত সড়কে বৃষ্টির কারনে ছোট-বড় মাঝারি গর্ত সৃষ্টি হয়। ব্যস্ততম এই সড়কে যানবাহন চলাচল করতে অনেকটা সমস্যার কারন হিসেবে দাড়িয়েছে, ক্ষতির মুখে পড়েছে অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সহ মিনি যানবাহন গুলো। জানা যায়, উপজেলার এ জনগুরুত্বপূর্ণ জনপদের মেঠো সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো আগেই।

দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই একটানা বৃষ্টিতে অবস্থা আরো বেহাল দশা। নষ্ট হয়েছে সড়কের বিটুমিন, সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। এমন সড়ক দিয়ে কেবল ছোট বড় গাড়িকেও চলতে হচ্ছে হেলে-দুলে। 

১৯৭৬ সালে পটিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চন্দনাইশ থানা সৃষ্টি করা হয়। ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মৃতি ধারন করে বিভিন্ন সময়ে নানান ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার মত গুণীজন উপহার দিয়েছে চন্দনাইশ। ৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা গঠিত।

ধোপাছড়ি ইউনিয়নটি বান্দরবান ও রাঙ্গুনিয়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়, দোহাজারী, হাশিমপুর ও কাঞ্চনাবাদ এ ৩ টি ইউনিয়ন আংশিক পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় এবং চন্দনাইশ পৌরসভাসহ জোয়ারা, বরকল, বরমা, বৈলতলী ও সাতবাড়িয়া এ অঞ্চল গুলো সমতল এলাকায় অবস্থিত। এসব অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের বেশিরভাগ সড়ক অনুপযোগী। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামীণ সড়কগুলোর নির্মাণ-সংস্কার কাজ খুবই নিম্নমানের, বেশি টেকসই হয় না। অল্প বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে সড়কের পাথর, ভেঙে পড়েছে দু'পাশের অংশ। ঠিকাদারদের ঠিক থাকে না কাজের মান, ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের উপকরণ। ফলে, প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। যার কারনে এলজিইডির মোটা অংকের টাকা অপচয় হয়। 

পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল রানা, কয়েকবছর আগেই সড়কটিতে চলাচল স্বাভাবিক না। দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশা। তার
উপর টানা বৃষ্টির কারনে আরো সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ( এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী জোনায়েদ আহমেদ জানান, আমাদের অর্থবছর জুন পর্যন্ত। অর্থবছর শেষ হওয়ার পর জুলাইয়ে আমাদের একটা বার্ষিক মেরামতের বাজেট আছে। ইতিমধ্যে আমি সড়কগুলো সংস্কার করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আব্দুল বারীহাট সড়কটি আমি দায়িত্বে আসার ৩/৪ বছর আগে হয়েছে। এখন সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। মেরামতের তালিকায় রয়েছে সড়কটি।