
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ও দেশ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ডিডিসি)’র সহযোগিতায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ও কালিকাপুর ইউনিয়নের প্রান্তিক হতদরিদ্র সতের 'শ পঞ্চাশটি পরিবার দুই কেজি করে কুরবানির মাংস পেয়েছেন। রবিবার (৮ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে ডিডিসি'র কার্যালয়ের সামনে ঈদের দ্বিতীয় দিনে মাংস বিতরণ করা হয়। মাংস পেয়ে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মুখে হাঁসি ফুঁটে উঠে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র, বিধবা ও কর্মহীন মহিলাদের মাঝে কুরবানীর মাংস দেয়া হচ্ছে। এরই ধারবাহিকতায় এবছরও মাদারীপুরে দুইটি ইউনিয়নে মাংস দেয়া হয়। দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের মনিটরিং ও রিপোটিং কর্মকর্তা রাসেল বিন হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেশ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ডিডিসি)’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন মোল্লা, সমাধান এর নির্বাহী পরিচালক এইচ এম বোরহান, মাদারীপুর জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাগর হোসেন তামিম, সমাজসেবক মাইনুল হাসান, ফারুক খান, ডিডিসি’র স্বেচ্ছাসেবক নুরে আলমসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মাংস পেয়ে কালিকাপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী আয়নাল মোড়ল বলেন, ‘ইসলামিক রিলিফের জন্যে ২ কেজি মাংস পাইলাম। ফলে পোলাপান নিয়ে দু’বেলা মাংস খেতে পারবো। আগামীতেও যেন তাদের সহযোগিতা থাকে।' তার মতো একই কথা বলেন ৭০ উধ্বো জব্বার খান নামে এক ব্যক্তি।
এব্যাপারে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের মনিটরিং ও রিপোর্টিং কর্মকর্তা রাসেল বিন হোসেন বলেন, এ বছরও ইসলামিক রিলিফ কুরবানি প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করেছে। এ বছর সদর উপজেলার জন্য ১ হাজার ৭৫০ টি পরিবারের মধ্যে ২ কেজি করে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।'
এব্যাপারে দেশ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ডিডিসি)’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন মোল্লা বলেন, 'আমরা সবোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে কোরবানীর মাংস দেয়ার কাজটি করে থাকি। এবছরও গরীব অসহায়দের মাংস পৌছে দিতে পেরে ভালো লাগছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আঁখি