
ছবি : প্রতীকী
অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে বাউফলে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ দুইজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন কালাইয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম রেজভি (৩০), জিয়া সৈনিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল আমিন সবুজ (৩৫)।
রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কালাইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকর্পূরকাঠী গ্রামের উত্তরকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেনের সঙ্গে দেখা ও দলীয় কার্যক্রম শেষে সাইফুল আলমসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা উত্তরকান্দা এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাইফুল আলম ও আল আমিনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় মো. হালিম চৌধুরীর (৫০) নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। হালিম চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের অনুসারী।
এ বিষয়ে হালিম চৌধুরী বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। সেই হিসেবে এলাকায় একটি ভাড়া ঘর নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কতিপয় দুর্বৃত্ত রবিবার রাতে সেই কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং পরে ওই দুর্বৃত্তরা দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী তাঁদের প্রতিরোধ করে। আর ঘটনার সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ছিলেন। তিনি হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সানজানা