ছবি:সংগৃহীত
ঈদের দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল, বিশেষ করে পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে ভিড় জমেছে কুরবানি দিতে গিয়ে আহত মানুষের। কেউ হাত কেটেছেন, কেউ পা ভেঙেছেন, কেউ আবার গরুর চাপায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। অদক্ষ কসাই বা নিজেরা কুরবানি করতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
একজন ভুক্তভোগী জানান,
“আমি গরু জবাই দিতে গেছি, তখন হুজুর কসাইয়ের কাজ করতে গিয়ে আমার হাতে একেবারে কোপ মেরে ফেলে। এরপর যখন গরু ফালানো হচ্ছিল, তখন পোজ দেয়ার সময় হুজুর বসে পড়েন আমার হাতের ওপর। পরে আরেকটা গরুর পায়ের লাথিতে আমার পা ভেঙে যায়। এখন চিকিৎসা নিতে এসে দেখি এখানে কোনো ভালো চিকিৎসা সেবা নেই, দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর এক ডাক্তার দেখেছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন,
“সেবার মান খুবই খারাপ, এক্স-রে করাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আনসার সদস্যদের ব্যবহারও খুব খারাপ।”
পঙ্গু হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান,
“আজকে সকাল ১১টা পর্যন্ত আমরা ৪০-৫০ জন কাট ইনজুরির রোগী পেয়েছি। এর মধ্যে বেশিরভাগই হাত কাটা, রগ কাটা, আঙুল কাটা, পা ভাঙা বা গিরা সরে যাওয়া রোগী। রোড অ্যাকসিডেন্ট খুব কম, মুলত গরু জবাই ও কুরবানির সময় দুর্ঘটনার কারণে এমন ইনজুরি হচ্ছে।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে সচেষ্ট। তবে তারা মনে করেন,
“যদি অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত কসাই দিয়ে কোরবানি করানো হতো, তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা অনেক কম হতো। ট্রেইন পার্সনের অভাবে অনেকেই নিজেরাই গরু জবাইয়ের চেষ্টা করছেন, যার ফলেই ইনজুরি বাড়ছে।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, কোরবানি দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা এবং দক্ষ কসাইয়ের সাহায্য নেওয়াই উত্তম। তা না হলে ঈদের আনন্দ শেষ হয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে।
আঁখি
