
ধূমপানের সময় দেখে ফেলায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে লামিয়া খাতুন (৬) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে নিহতের মামা আরাফাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত লামিয়া খাতুন উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের ছোট বিন্যাদাইর গ্রামের নাজিম সরকারের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে শাহজাদপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো: কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের এতথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার আরাফাত হোসেন (১৬) একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি নিহত লামিয়ার মা মিনা খাতুনের চাচাতো ভাই। আরাফাত বাঘাবাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার (৮ম) শ্রেণির ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে (এএসপি) কামরুজ্জামান বলেন, গত গত (৩ জুন) দুপুরে বিন্যাদাইর গ্রামে আওয়ামীলীগ নেত্রী রূপা রহমানের পরিত্যক্ত বাড়িতে শিশু লামিয়া খেলা করার সময় ওই বাড়ির একটি কক্ষে আরাফাত বিড়ি খাওয়ার সময় লামিয়া দেখে ফেলে। তার বিড়ি খাওয়ার কথা আরাফাতের বাবাকে বলে দিতে না করে। কিন্তু লামিয়া আরাফাতের কথা না শুনে তার নানাকে বিড়ি খাওয়ার কথা বলার জন্য বাড়িতে যেতে থাকে। এসময় আরাফাত পিছন থেকে লামিয়াকে ধরে ফেলে এবং লামিয়ার মুখ সজোরে চেপে ধরে।
এতে শিশু লামিয়ার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে লামিয়ার কাছে থাকা গামছা মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় আরাফাত। এরপর আরাফাত তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। লামিয়া নড়াচড়া না করলে সে নিজ বাড়ি থেকে কস্টেপ এনে লামিয়ার হাত-পা বেঁধে লাশ ওই বাড়ির সেফটিট্যাংকের মধ্যে ফেলে দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে দিয়ে সে বাড়িতে ফিরে যায়। লামিয়াকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি করতে থাকে। সবার সঙ্গে আরাফাতও খুজতে থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুজ্জামান আরও বলেন, লামিয়াকে না পেয়ে আরাফাতকে জিজ্ঞাসাদ করলে এই চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যার ঘটনা বেড়িয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার বাবা নাজিম সরকার বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এরআগে, লামিয়া খাতুন নিখোঁজ হওয়ায় গত (৩ জুন) রাতে শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে নিহতের নানা। লামিয়ার বাবা ও মা গাজীপুরের কাশিমপুর ডিভিএল গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করেন। এ কারণে লামিয়া ও তার ছোট ভাইকে তার নানা-নানীর বাড়িতে থাকতেন। লামিয়া পাশ্ববর্তী খামার শানিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
সানজানা