
কেরানীগঞ্জে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। প্রথম দিকে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় গরুর দাম কম ছিলো। শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় গরুর দাম ও কিছুটা বেড়েছে। এতে খামারিদের হতাশা অনেকটা কেটেছে। এদিকে কেরানীগঞ্জের ১১টি গরুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু এসেছে৷
আজ (০৪ জুন) বুধবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি গরুর হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের পশুর হাট গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে । সারিবদ্ধভাবে রাখা কোরবানির পশু গুলো দেখতে ভির করছে ক্রেতারা । তবে হাটে বড় আকারের গরু চাহিদা খুব কম। ছোট ও মাজারি গরুর দাম ও বেশি চাহিদা ও বেশি।
গরুর ব্যাপারী ঈদ্রিস মিয়া বলেন, পশুর হাটে প্রচুর কোরবানির পশু উঠছে। ক্রেতার সংখ্যা এখন ও তেমন নেই । আমাদের কিনা বেশি তাই কোন রকম দাম উঠলেই গরু বিক্রি করে দেব। আবার মনে হয় তেমন লাভ হবে না। আমি ৩৫ টি গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযন্ত ১০ টি গরু বিক্রি করেছি। বাকি গুলু রয়ে গেছে। তবে হাটে ক্রেতার চেয়ে দর্শণার্থী বেশি ।হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মোমিন বলেন, এখন ও তেমন দরদাম না হলে ও যারা আসছেন তাদের মধ্যে ছোট ও মাজারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। আমি ২৪ টা গরু নিয়ে হাটে আসছি এর মাজে বড় গরু ১৭ টা ছোট গুলা বিক্রি হইছে কিন্তু বড় গরু একটা ও বিক্রি করতে পারি নাই। এখন একদিন বাকি দেখি কি হয়।
ক্রেতারা বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি। হাটে পর্যাপ্ত পশু উঠলেও বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। আমি আজকে ৩ দিন ধরে গরু কিনতে হাটে আসছি কিন্তু এখন ও গরু কিনতে পারিনি । চাহিদা অনুযায়ী পশু পেলেও দাম দরে বনিবনা হচ্ছে না। তাড়া যা ইচ্ছা দাম চেয়ে বসে আছে। অপেক্ষা করি দেখি দাম নাগালে আসে কিনা।
জিনজিরা হাটের ইজারাদার মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, আমাদের হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যাপারীদের জন্য থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
Jahan