ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাতিয়ায় মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুই দিন পর ভেসে উঠল পুলিশ সদস্য সাইফুলের মরদেহ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:১২, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:১৪, ২ জুন ২০২৫

হাতিয়ায় মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুই দিন পর ভেসে উঠল পুলিশ সদস্য সাইফুলের মরদেহ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির দুই দিন পর নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড়ে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।

সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চরশাহী গ্রামের বাসিন্দা এবং চন্দ্রগঞ্জ থানার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন এবং গত তিন বছর ধরে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, দরবেশ বাজারের দক্ষিণে মেঘনার পাড়ে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে ছবি তুলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি সাইফুলের বলে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবারেও চলছে শোকের মাতম।

ঘটনার দিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। এতে ছিলেন ৩৯ জন যাত্রী—যাদের মধ্যে পুলিশ, আনসার, রোহিঙ্গা রোগী এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মী ছিলেন।

ভাসানচর থেকে আনুমানিক ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের কাছে এসে ট্রলারটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে এবং মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান, “দুই দিন পর বিকেলে ঢেউয়ের ধাক্কায় সাইফুলের মরদেহ নদীর পাড়ে ভেসে ওঠে। আমরা মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, “ট্রলারটিতে থাকা ৩৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত এবং তামিম নামে এক রোহিঙ্গা শিশু এখনও নিখোঁজ। কোস্টগার্ড নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”

মিমিয়া

×