
আসন্ন ঈদুল আজহায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার কোরবানির জন্য ২৪ হাজার ৮০০টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৮৪টি গবাদিপশু। উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কাঙ্খিত কেনাবেচা শুরু হয়নি এখনও বলে বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন।
চলতি বছর কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে পশুর হাটগুলো তেমন জমে ওঠেনি, যার ফলে চাষী ও খামারীরা কিছুটা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বৃষ্টি কমলেই লোকসমাগম বাড়লেও পশুর দাম শুনে ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন বলে বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।
সম্প্রতি চাঁদপাড়া, নাকাই, মহিমাগঞ্জ, ফাঁসিতলা, কামদিয়া, বাগদা, রাজাবিরাট সহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, কোরবানিযোগ্য পশু কেনাবেচার জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এই হাটগুলোতে ষাঁড়, বলদ, মহিষ, গাভি, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচার জন্য পশু আনা হলেও ক্রেতারা দাম শুনে পরে কিনবেন বলে চলে যাচ্ছেন বলে খামারী ও ব্যবসায়ীরা জানান। তবে ঈদের আগে শেষ দিনগুলোতে বেশি বেচাকেনা জমে উঠবে বলে হাট ইজারাদারা আশা করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য উপজেলার ২ হাজার ৬৭০ খামারে ৭ হাজার ৪৩২টি ষাঁড়, ৫৫১টি বলদ, ৪ হাজার ৫৩টি গাভি, ৬১টি মহিষ, ২১ হাজার ৯১২টি ছাগল ও ১ হাজার ৫৭৫টি ভেড়া মজুদ আছে।
পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও প্রত্যেক পশুর হাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা ঠকবার শঙ্কায় ভুগছেন। দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন এবং ওই দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা টাকা দালালদের পকেটে যাচ্ছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদে আমার খামারে ৯টি কোরবানিযোগ্য গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। হাটে পশুর দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আব্দুস সামাদ জানান, এ বছর উপজেলায় চাহিদা মিটিয়েও অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭৮৪টি কোরবানির পশু মজুদ আছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পশু চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
রাজু